ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেট দেওয়ার সুপারিশ

করোনা মহামারীর মধ্যে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনলাইন ক্লাসের সুবিধায় শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেট প্যাকেজ বরাদ্দ দিতে মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ইন্টারনেট সুবিধা সহজলভ্য করতে সম্ভাব্য সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

সোমবার (৬ জুলাই) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত ‘বর্তমান বৈশ্বিক সঙ্কটকালে শিক্ষা বিষয়ে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সভায় এসব কথা বলেন তারা।

শিক্ষামন্ত্রী ড.দীপু মনি জানান, বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। শিক্ষা কার্যক্রমকে চালিয়ে নিতে আমরা অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করছি।

ইতোমধ্যেই অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পক্ষেই ইন্টারনেটের ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।

তাই শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেট প্রদান অথবা স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট প্যাকেজ দেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে মোবাইল কোম্পানিগুলোর সাথে আলোচনা চলছে।

মোবাইল অপারেটরগুলো বিষয়টি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবে বলেই আশা করছেন দিপু মনি।

দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর গত ১৭ মার্চ থেকে সারা দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। যা আগামী ৬ অগাস্ট পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

স্কুল-কলেজ বন্ধের সময় প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণির ক্লাস সংসদ টিভিতে দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজ দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষার্থীরা সেসব বাড়ির কাজ জমা দেওয়ার পর শিক্ষকরা তা মূল্যায়ন করবেন। সংসদ টিভির পাশাপাশি ইউটিউব ও ফেইসবুকের বিভিন্ন পেইজে এসব ক্লাস আপলোড করা হচ্ছে। বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান নিজেদের সাধ্য মতো ভার্চুয়াল ক্লাস নিচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিটি সঙ্কটই আমাদের জন্য নতুন কোন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দেয়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে হলে তথ্য ও প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।

তাই আমাদের হয়ত কিছুদিনের মধ্যেই ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রমে চলে যেতে হত, করোনা আমাদেরকে এক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছে। আমরা এখন অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমসহ অফিস-আদালতে বিভিন্ন মিটিং এবং দৈনন্দিন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছি।

নতুন এই প্ল্যাটফর্মে এখনও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে আমরা সেই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে নতুন এই বাস্তবতার সাথে অভ্যস্ত হয়ে উঠব। করোনা পরবর্তী সময়েও স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

আনন্দবাজার/তা.তা

সংবাদটি শেয়ার করুন