বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাবে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলা করতে সরকার সর্বাত্বক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। রবিবার তার সরকারি বাসভবন থেকে অ্যামেরিকান চেম্বার অব কমার্স (অ্যামচ্যাম) বাংলাদেশ কর্তৃক কোভিড-১৯ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রাস্তিক কৃষকের মাঝে সহায়তা কার্যক্রম অনলাইনে উদ্বোধনকালে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনার দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশ ও এদেশের কৃষকেরাও বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি। এটি মোকাবিলায় সরকার কৃষিখাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ভর্তুকিসহ নানা প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে।
অ্যামচ্যামের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ এরশাদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহমেদ প্রমুখ । অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অ্যামচ্যামের ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলা করতে হলে খাদ্য উৎপাদন আরও অনেক বাড়াতে হবে। সে লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করছে। যাতে করে দেশে খাদ্যের কোন ঘাটতি না হয়, খাদ্য আমদানি করতে না হয়। বরং দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের সম্ভাব্য খাদ্য সংকটে আর্তমানবতার সেবায় বাংলাদেশ যাতে তার উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্য নিয়ে সহযোগিতা করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে করোনা দুর্যোগের মাঝেও লক্ষ্যমাত্রার অধিক বোরো ফসল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে আউশ ধান বীজ, আমন ধান বীজ ও পাট বীজ কৃষকদের মাঝে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা হয়েছে। আমনে ও রবি মৌসুমে উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস