সুইডেনের স্টকহোমের বিখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যারোলিনস্কা ইন্সটিটিউট জানিয়েছে, ৬০ হাজার বছর আগে যে ডিএনএ’র বিস্তার ঘটেছিল, তার সাথে কোভিড-১৯ রোগের একটা যোগসূত্র রয়েছে বিশেষ করে গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে।
গবেষকেরা জানান, এই ধরনের ডিএনএ’র কপি বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বেশি। অন্তত একটি করে কপি রয়েছে বাংলাদেশের ৬৩ শতাংশ মানুষের। তবে যাদের শরীরে এর দুটি কপি থাকে তারা অন্যদের তুলনায় তিনগুণ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়।
গবেষকেরা আরও জানান, এই ডিএনএ’র আদি ভার্সন ক্ষতিকর হলেও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ানদের মধ্যে যেটি দেখা যায় তা যেকোনো ভাইরাস প্রতিরোধে আরও বেশি কার্যকরী। এ কারণে এই অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যও ‘উন্নত’। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই ডিএনএ’র কারণে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্যমতে, গোটা পৃথিবীর এই ধরনের ডিএনএ খুব একটা দেখা যায় না। ইউরোপে ৮ শতাংশ, পূর্ব এশিয়ায় মাত্র চার শতাংশ এবং আফ্রিকায় নেই বললেই চলে।
৬০ হাজার বছর আগে আধুনিক মানুষের কিছু পূর্বসূরি আফ্রিকা থেকে বেরিয়ে ইউরোপ, এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ায় বসতি গড়েন। এরপর তারা প্রস্তর যুগের বিশেষ প্রজাতির মানুষের (Neanderthal) সাথে মিশে যায়। আর তাদের ডিএনএ আমাদের জিন পুলে প্রবেশ করে। এরপর সেটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি ব্রিটেনের একটি জরিপে দেখা যায়, কোভিড-১৯ রোগে সে দেশে শ্বেতাঙ্গদের চেয়ে বাংলাদেশিদের মৃত্যুহার বেশি। এই ডিএনএ’র সাথে দেশটির বাংলাদেশি কমিউনিটির কোনো যোগসূত্র আছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন জেবার্গ।
আনন্দবাজার/এম.কে