ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বারোমাসী ফুলকপি ও পাতাকপির চারা উৎপাদনে লাভবান চাষিরা

সবজির চাষাবাদ এখন আর ঋতুভিত্তিক নেই। সবধরণের সবজিই এখন বারোমাসী চাষাবাদ হয়। যশোর সদরের চুড়ামনকাটি এলাকায় দুটি শীতকালীন সবজি চাষ হচ্ছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত ফুলকপি ও পাতাকপির চারা এখন জেলার বাইরেও যাচ্ছে। এসব চারা বিক্রি লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এর চারা উৎপাদনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, বিভিন্ন সিড কোম্পানির কাছ থেকে কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি ও পাতাকপির বীজ সংগ্রহ করেন। মানভেদে প্যাকেট প্রতি পাতাকপির বীজের দাম ১৯০ থেকে ৭০০ টাকা। ফুলকপির প্রতি প্যাকেট বীজের দাম ৮০০ থেকে একহাজার টাকা। প্রতি প্যাকেটে বীজের পরিমাণ থাকে দশ গ্রাম। এক প্যাকেট বীজ থেকে প্রায় এক হাজার ৪০০টির মতন চারা গজায়। এক্ষেত্রে পাতাকপির এক হাজার চারাগাছের দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। ফুলকপির এক হাজার চারার দাম হাজার প্রতি এক হাজার থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা।
যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটির ইউনিয়নের কৃষক উসমান আলী জানান, শীতকালীন সবজি ফুলকপি ও পাতাকপির আগাম চাষে আগ্রহীরা তার কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করেন। ফসল দুটির আগাম চাষ অনেক লাভজনক। শীত শুরুর আগেভাগেই এসব সবজি যখন বাজারে ওঠে তখন ভালো দাম পাওয়া যায়। এমনকি শীতের এই সবজি দুটির গ্রীষ্মকালীন আবাদ থেকে ফলনও ভালো আসে। যার জন্য অনেকেই এখন সবজি দুটির আগাম চাষবাদে আগ্রহী হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসরাণ অধিদফতরের যশোর কার্যালয়ের উপ-পরিচালনক ড. আকতারুজ্জামান বলেন, গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি ও পাতাকপির চাষাবাদ বেশ লাভজনক হওয়ায় চাষিদের অনেকেই এখন এর আবাদ করছেন। শীতকালীন সবজি দুটির গ্রীষ্মকালীন চাষে ফলনও ভালো আসছে।
আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন