ঢাকা | সোমবার
১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৫শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৭০ হাজার পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত মৌলভীবাজারে

সম্প্রতি মৌলভীবাজারে আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ৭০ হাজার গবাদি পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে খামারিদের কাছ থেকে। তবে গেল বছর কোরবানির ঈদে মৌলভীবাজারে গবাদি পশু বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৮০ হাজার।

প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের মাঠ পর্যায়ের জরিপে জানা গেছে, করোনার কারণে বহু প্রবাসী এবার দেশে আসতে পারছেন না। তাই চাহিদা খুব বেশি হবে না। তবে চাহিদা যতটুকু হবে তা স্থানীয় গবাদি পশুই পূরণ করবে বলে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ধারণা। মৌলভীবাজার সদর, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ি, বড়লেখাসহ মোট ৭ উপজেলায় মিলে গরু মোটাতাজাকরণ খামার আছে  ১ হাজার ৬৭০টি। ৫৭৫টি আছে ছাগলের খামার এবং দুগ্ধবতী গাভীর খামার ৬৪২টি।

মৌলভীবাজারের দেশি গরুর খামারি কামরুল হাসান জানান , আমার মোট গরু ২৩টি। এর মাঝে ১৭টি দেশি গরু এবার কোরবানির জন্য রেখেছি। তবে বর্তমানে করোনার সময়ে বেশ চিন্তার মধ্যে আছি ভালো মূল্য পাবো কি না। ১৭টা গরু যদি ১০ থেকে ১২ লাখ টাকায় না বিক্রি করতে পারি তাহলে খরচ উঠে আসবে না।

এই ব্যাপারে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল শামীম জানান, যতগুলো আমরা তালিকায় উল্লেখ করেছি এর মিনিমাম তিন থেকে চারগুণ প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র খামারির সংখ্যা এ তালিকার বাহিরে রয়ে গেছেন। অর্থাৎ যে সকল ক্ষুদ্র খামারি পরিবারিকভাবে গরু-ছাগল পালন করেন। কোরবানির পশুর মধ্যে রয়েছে- দেশি এবং শংকর জাতের গরু। আর ছাগলের মধ্যে রয়েছে দেশি ব্ল্যাক-বেঙ্গল জাতের ছাগল।।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাসুদার রহমান সরকার বলেন, আমাদের আসন্ন কোরবানি ঈদকে ঘিরে মৌলভীবাজারে প্রায় ৭০ হাজার কোরবানির উপযোগী গরু-ছাগল মজুত আছে। এই ৭০ হাজার পশুর মাঝে রয়েছে গরু মোটাতাজাকরণ খামার, ছাগলের খামারসহ অসংখ্য প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র খামারি।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন