ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জ্বীন পরিবর্তন করায় আরও দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস!

বর্তমানের করোনাভাইরাসটি আসল ভাইরাসটির চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী এবং সংক্রামক সেই সাথে খুব দ্রুততার সাথে ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আন্তর্জাতিক এক গবেষণায় এমনটা উঠে এসেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি বাংলা।

তবে শুরুতে এই ভাইরাসটি মানুষের শরীরে যতোটা না সংক্রমিত হতো, রূপান্তরের পর বর্তমান ভাইরাসটি তার চেয়েও অধিক সংক্রমিত হচ্ছে। কিন্তু এটি আসল ভাইরাসের চেয়ে মানুষকে আরও বেশি অসুস্থ করে দেয় কিনা সে ব্যাপারে এখনও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এই ভাইরাস যখন ইউরোপ এবং আমেরিকাতে চলে আসে তখন বিজ্ঞানীরা এর জ্বীন সিকোয়েন্সিং করে তার নাম দেন D614। কিন্তু পরে এটি ছড়িয়ে পড়তে পড়তে নিজের গঠন এবং চরিত্রে কিছু পরিবর্তন সাধন করে, বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হয় রূপান্তর। তারা বলছেন, মানুষ থেকে মানুষের সংক্রমণের সময় একেক অঞ্চলে এই ভাইরাসটির একেক ধরনের পরিবর্তন ঘটায়।

বার বার এই পরিবর্তন বা এই রূপান্তরের পর বর্তমানে যে ধরনের করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী মানুষ সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে, বিজ্ঞানীরা তাকে চিহ্নিত করেছেন G614 হিসেবে। বিজ্ঞানীরা জানান, এখন তারা জানতে পারছেন যে পরিবর্তিত ভাইরাসটি সংক্রমণের দিক থেকে আসল ভাইরাসের তুলনায় অনেক বেশি  শক্তিশালী।

জীব বিজ্ঞানী বেটি কোরবার এবং তার সহকর্মীরা গবেষণা রিপোর্টে লিখেছেন, ‘সারা বিশ্বে যেসব সংক্রমণ ঘটছে তাতে দেখা যাচ্ছে করোনাভাইরাসের বর্তমান G614 ধরনটি শুরুর D614 ধরনের তুলনায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।’

এই ভাইরাসের যে আর রূপান্তর ঘটবে না তা নয়। এই পরিবর্তন অব্যাহত থাকলে এর পরের ভাইরাসের সংক্রমণ শক্তি বর্তমান ভাইরাসটিকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন