প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ ব্যবসা, চিকিৎসা এবং ভ্রমণের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যায়। কিন্তু করোনার প্রভাব শুরুর পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের যাতায়াত বন্ধ রেখেছে। এরপরও অনেকে বিশেষ ফ্লাইটে বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করছেন। যেসব দেশে বাংলাদেশিরা সচরাচর বেশি যাতায়াত করে, সেসব দেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে এখন কী অবস্থা রয়েছে? বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—
ভারত- বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ যায় ভারতে। বাংলাদেশের মানুষ ব্যবসা, চিকিৎসা এবং প্রমোদ ভ্রমণের জন্য ওই দেশে যায়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সবগুলো স্থল বন্দর এখন মানুষ চলাচলের জন্য বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ভারতে সব ধরণের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও বন্ধ রয়েছে।
তবে চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে কিছু দেশের সাথে ভারতের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট যোগাযোগ শুরু হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে দেশটির বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।
সিঙ্গাপুর- সিঙ্গাপুর সরকার দেশের অর্থনীতি এবং জীবনযাত্রা ধীরে-ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় আনার কাজ ইতোমধ্যে শুরু করেছে। তবে যারা সাময়িক সময়ের জন্য সিঙ্গাপুর ভ্রমণে যেতে চান তাদের ক্ষেত্রে এখনো বাধা রয়েছে। সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী স্বল্প সময়ের জন্য যারা সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করতে চান তাদের জন্য একটি উপায় আছে।
জরুরি ব্যবসা এবং অফিসিয়াল কাজে সিঙ্গাপুর যেতে চান তাদের জন্য আছে বিশেষ ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থাটিকে বলা হয় গ্রিন/ফাস্ট লেন অ্যারেঞ্জমেন্ট। এর আওতায় একটি সেফ ট্রাভেল পাস সংগ্রহ করতে হবে। এটি ছাড়া সিঙ্গাপুরে ঢোকা যাবেনা। এছাড়া সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষের বিশেষ অনুমোদন নিয়ে স্বল্প সময়ের জন্য সেখানে যাওয়া যাবে। সিঙ্গাপুর সফরের জন্য কিছু নির্দেশনা দেয়া আছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে।
থাইল্যান্ড- থাইল্যান্ডে যারা ব্যবসার কাজে যাবেন তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে এবং যারা চিকিৎসার জন্য যাবেন তাদের ক্ষেত্রেও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে থাইল্যান্ড। এর পাশাপাশি রয়েছে দক্ষ কর্মী এবং বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী।
তবে থাইল্যান্ড যেতে হলে অবশ্যই ‘কোভিড-১৯ মুক্ত’ সনদ থাকতে হবে এবং সেই সাথে তাদের থাইল্যান্ডে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এই শর্ত মেনে থাইল্যান্ড ভ্রমণের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ইতোমধ্যে ৫০ হাজার মানুষ রেজিস্ট্রেশন করেছে।
ইউরোপ- ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো বিদেশীদের সফরের জন্য তাদের বিমান চলাচল শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বাংলাদেশে আমেরিকা, ব্রাজিল এবং রাশিয়াও এই তালিকায় নেই। সফরের জন্য কয়েকটি ব্যাপারের উপর নির্ভর করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে:
১. যেসব দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কম। অর্থাৎ যেসব দেশে এক লাখ মানুষের মধ্যে ১৬ জনের কম আক্রান্ত হয়েছে সেসব দেশের নাগরিকদের ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়
২. যেসব দেশে সংক্রমণের হার নিচের দিকে
৩. যেসব দেশে সামাজিক দূরত্বের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে
আনন্দবাজার/এইচ এস কে