বরগুনার তালতলীতে এলজিএসপি’র কালভার্ট দিনে দুপুরে গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউসুফ মীর নামের এক প্রবাভশালীর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের উত্তর বেহেলা(মুলম)সহ কয়েকটি গ্রামমের হাজার হাজার মানুষ চলাচলের রাস্তাটির উপর দিয়ে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের এলজিএসপি প্রকল্পের ৭৬ হাজারা টাকা ব্যয়ে একটি কালভার্ট নির্মিত হয়। কিন্তু পার্শবর্তী ১ নং ওয়ার্ডের প্রবাভশালী ইউসুফ মীরের সাথে ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মালেক ফকিরের সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে।
কালভার্টটির নির্মিত স্থানসহ সরকারী রাস্তাটির যায়গা নিজেদের দাবি করেন। এই রাস্তা দিয়ে মালেক ফকিরের পরিবার চলাচল করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেয় ইউসুফ মীর। পরে গত ৩০ জুন দিনে দুপুরে ইউসুফ মীর ছেলে সালাউদ্দি মীরসহ ১২-১৩ জন সন্ত্রাসী বাহিনী সরকারী কালভার্টটি গুড়িয়ে দিয়ে যায়। এ কারণে ঐ রাস্তা দিয়ে এলাকায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ও জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগকারী খালেক ফকির,নাসির মল্লিক ও অসিম অধিকারী বলেন, আমাদের এই সব গ্রামের বৃষ্টি ও বন্যা হলে এক মাত্র পানি নামার একমাত্র ভরশা এই কালভার্টটি। পাশবর্তী ইউসুফ মীরসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের চেখের সামনে কালভার্টটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। এখন সাধারন জনগনের ভোগান্তিতে রেখেছে। আমাদের দাবি এই কালভার্টটি সংস্কার করে দ্রুত পনি সড়ানোর ব্যবস্থা করা হোক।
মালেক ফকির জানান আমরা তাদের ভিতরে জমি পাবো কিন্তু উল্টা আমাদের হুমকি দেয় ও আমাদের জমিজমা বুঝিয়া দেয় না। এই জের ধরেই এই এলাকার হাজার হাজার মানুষের চলাচলের রাস্তা ও কালভার্টটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় ইউসুফ মীরসহ তার ১২-১৩ জন সন্ত্রাসী বাহিনীরা। যার একটি ভিডিও করে রাখছি আমরা।
স্থানীয় ইউপি তাপস চন্দ্র হাওলাদার সদস্য বলেন, জমিজমা নিয়ে সমস্যা থাকতে পারে তাই বলে সরকারী কালভার্ট ভেঙ্গে গুড়িয়ে ঠিক না। ইউসুফ মীর তার ১২-১৩জন সন্ত্রাসী নিয়ে সরকারী এলজিএসপি প্রকল্পের কালভার্টটি দিনে দুপুরে ভেঙ্গে দিয়ে গেছে।
কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জালাল গাজি বলেন, আমাদের পরিষদের এলজিএসপি প্রকল্পের একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। শুনেছি কিন্তু ইউসুফ মীরসহ তার লোকজন সেটা ভেঙ্গে দিয়েছে। তবে কি কারণে ভেঙ্গে দিছে তা জানি না। এবিষয়ে তালতলী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযুক্ত ইউসুফ মীর কালভার্ট ভাঙ্গার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এই যায়গা নিয়ে আদালত মামলা চলে। আদালতের আদেশ অমান্য করে তারা কালভার্ট নির্মান করতেছে তাই কালভার্ট ভেঙ্গে ফেলছি। এছাড়াও জায়গাজমি নিয়ে অনেক বার শালিস-মিমাংশা হয়েছে কিন্তু মালেক ফকির কোনো সমাধান বসেনি।
এবিষয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আসাদুজ্জামান বলেন, এবিষয়ে তদন্ত করে প্রমান পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আনন্দবাজার/শাহী