বন্যার কারণে কোরবানির জন্য পালিত গরু এবং ছাগল নিয়ে ব্যাপক দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন সুনামগঞ্জের মানুষ। কারণ, এসব পশু আসন্ন কোরবানি ঈদে বিক্রি করে তাদের বাড়তি আয়ের আশা ছিল। কিন্তু বন্যার কারণে তাদের সেই আশা-আকাঙ্ক্ষা বিফলে গেছে। বন্যার পানিতে ডুবে থাকা মাঠে নেই সবুজ ঘাস, এমনকি সংরক্ষণে রাখা খড়ও পঁচে গেছে। এ কারণে গরুর এবং ছাগলের খাবার যোগান দিতে পারছে না মানুষ। তাই বাধ্য হয়েই কম মূল্যে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
সুনামগঞ্জ সদরের মল্লিকপুর এলাকার দুটি গাভীর মালিক শামসুল মিয়া জানান, দিন মজুরির পাশাপাশি গরু পালন করে দুধ বিক্রির মাধ্যমে সংসার চালিয়েছি এতদিন। কিন্তু, এখন সব পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সবুজ ঘাসের অভাব আর দীর্ঘ সময় ধরে পানিতে দাঁড়িয়ে গরুর পায়ে অনেক ঘা হয়ে গেছে। এখন একেবারেই দুধ দেয় না বললেই চলে। এই পরিস্থিতিতে পশু চিকিৎসক না আসাতে চিকিৎসাও দিতে পারছি না।
এই ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান খান জানান, ১৫টি মেডিকেল টিম গঠন করেছি। বর্তমানে তারা সেবা দিচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে মেডিকেল টিম যাচ্ছে না এমন অভিযোগে তিনি জানান, জনবল কম থাকার কারণে একটু সমস্যা হতেই পারে।
তিনি আরও বলেন, বছরের প্রথম থেকে গরু মোটাতাজাকরণে নানা ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে যাতে কোরবানি ঈদে কৃষক ভালো টাকা আয় করতে পারেন। সেই সাথে গোখাদ্য অভাবের কথাও স্বীকার করেন তিনি। আমরা হাই অফিসিয়ালকে গোখাদ্যে বরাদ্দ দেওয়ার ব্যাপারে একটি আবেদন পাঠিয়েছি।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে