ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বারডেমে অবস্থানরত চিকিৎসকদের একাংশের ধর্মঘট

চাকরি স্থায়ীকরণ সহ বিভিন্ন দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো ধর্মঘট পালন করেছেন রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত এই চিকিৎসকরা হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপন, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আরএমও পদ বিলুপ্ত করে সব আরএমও/সহকারী রেজিস্ট্রার/এমওর চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে রোববার থেকে টানা ধর্মঘট করছেন।

আজ মঙ্গলবার (৩০ জুন) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হাসপাতালে অবস্থান ধর্মঘট করেন এই চিকিৎসকরা।

এদিকে, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের ধর্মঘট তুলে নিয়ে কাজে যোগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বারডেম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার তাদের এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা নিজেদের ট্রেনিংস্থলে অনুপস্থিত থাকছেন। এছাড়া অন্য প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের অনুপস্থিত থাকার জন্য হাসপাতালে দলবেঁধে অবস্থান ধর্মঘট করছেন। এতে হাসপাতালে রোগীদের সেবা কার্যক্রম এবং চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ব্যাহত হচ্ছে।

বারডেমের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এম কে আই কাইয়ুম চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে ধর্মঘটকে ‘শৃঙ্খলা পরিপন্থি’ আখ্যায়িত করে এই চিকিৎসকদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রশিক্ষণে যোগ দিতে জানানো হয়েছে।

তবে মঙ্গলবারও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া চিকিৎসকরা জনিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চিঠির জবাবে চিকিৎসকরাও আরও একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অবিলম্বে ‘সব অনিয়ম’ দূর করে কাজের নিরাপদ পরিবেশ তৈরি এবং সব দাবি মেনে নিতে হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক মঙ্গলবার জানান, বারডেম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসক হিসেবে বিবেচনা করছে, এটা ‘অন্যায়’। তারা এর তীব্র জবাব চেয়েছেন।

“যখন চাকুরির বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় তখন আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। ওখানে কোনো ট্রেইনির কথা বলা ছিল না। বারডেম আমাকে ডিগ্রি দেবে না, বিসিপিএস আমাকে ডিগ্রি দেবে। আমি ট্রেইনি হলে বিসিপিএসের, বারডেমের না।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের মহাপরিচালক কাইয়ুম চৌধুরী রোববার জানিয়েছিলেন, “আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা এই হাসপাতালে প্রশিক্ষণের জন্য আসে। প্রতি ছয় মাস পরপর তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। অনেকে আবার চলেও যান।

“তারা জানিয়েছেন, তাদের স্থায়ী করতে। এটা তো স্থায়ী করার কোনো বিষয় না। স্থায়ী করার একটা পদ্ধতি আছে। কিন্তু এখন তারা করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চাইছে। কিন্তু তারা যেভাবে চাইছে সেভাবে করার কোনো সুযোগ নাই।”

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন