সম্প্রতি ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহতের ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। নৌ পুলিশ ঢাকা জোন সূত্রে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এমভি মর্নিং বার্ডকে ধাক্কা দেওয়া লঞ্চ ময়ূর ২-এর মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াত এবং চালকসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় এই মামলা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে নৌপুলিশ সদরঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শামসুল বাদী হয়ে এই মামলা করেন। জানা গেছে, ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে গতকাল সোমবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ রুটের এমভি মর্নিং বার্ড নামে দোতলা লঞ্চটি ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর-২ লঞ্চটির ধাক্কায় ডুবে যায়। এ ঘটনায় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ৩২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড এবং নৌবাহিনীর ডুবুরিরা সম্মিলিতভাবে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। এদিকে লঞ্চডুবিতে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ব্যাপারটি ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ উল্লেখ করে জানান, সিসিটিভি ফুটেজ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা থেকে এটা বলা যায় যে, পরিকল্পিতভাবে ওই মর্নিং বার্ড লঞ্চটিকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা ফুটেজে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, বড় লঞ্চটি ছোট লঞ্চকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ডুবিয়ে দিচ্ছে।
এজন্য যারা দায়ী তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। সেই সাথে নিহতের স্বজনদের ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আর লাশ দাফনের জন্য তাৎক্ষণিক ১০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে।
ডুবে যাওয়া লঞ্চটির অবস্থান শনাক্তের পর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড এবং নৌবাহিনীর ডুবুরিরা সম্মিলতিভাবে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। বুড়িগঙ্গার তলদেশে প্রায় ৫০ ফুট পানির নিচ থেকে একটার পর একটা লাশ তুলে আনে তারা।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে