ঢাকা | শনিবার
১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনায় খুলনায় কম্পিউটার ব্যবসায় ধস, ক্ষতি ৫ কোটি

দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। ভয়াবহ এ ভাইরাসে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে খুলনার কম্পিউটার ব্যবসায়ও। করোনায় একেবারে তলানিতে পৌঁছে গেছে এ ব্যবসা। যা খুলনার অর্থনীতিতেও বড় ধাক্কায় রুপান্তরিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি খুলনা শাখা সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে খুলনায় জলিল টাওয়ারসহ ১০০ কম্পিউটার দোকান রয়েছে। যা দীর্ঘ তিন মাসের বেশি সময় ধরে প্রতিদিন কম বেশি ৫ লাখের বেশি টাকা বেচা-কেনা করতে না পারায় আইটি/কম্পিউটার ব্যবসায় বিশাল ক্ষতি হচ্ছে। এ খাতে প্রায় ৪ থেকে ৫শ’ কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করেন। যাদের দীর্ঘ দিন মালিক পক্ষ নিজ খরচে প্রশিক্ষণ দিয়ে সাধারণ কাস্টমার এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিয়ে আসছে।

এই ব্যাপারে নিউটেক কম্পিউটারের এক্সিকিউটিভ জিএম কবির ইসলাম জানান, লকডাউন পরবর্তী দু’চারদিন দোকান খুললেও তেমন কোনো ক্রেতার মুখ দেখা যাচ্ছে না একেবারেই। একদিকে জীবনের ঝুঁকি, অপরদিকে জীবিকা রক্ষা করতে দোকান খুললেও ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশিত বিক্রি হচ্ছে না। কম্পিউটার ব্যবসায়ীদের অনেকে ব্যাংকঋণের চাপে মানসিক ভাবে হতগ্রস্থ। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেও কম্পিউটার সামগ্রীর ব্যবসায়ীদের জন্য করোনাকালীন এখনও কোনো সুযোগ-সুবিধা দেয়নি।

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি খুলনা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং গ্রাফিকস সিস্টেমের ডিরেক্টর শেখ শাহিদুল হক সোহেল জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণে আইটি ব্যবসায়ীরা এক মাত্র ব্যবসায়ী যাদের মুনাফা ১ থেকে ২ শতাংশের কম ছাড়া বেশি নয়। করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে কর্মচারী, কর্মকর্তা, মালিকের নিজের খরচ পরিচালনা করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অনেকেরই দোকান ভাড়া, স্টাফ বেতন, ব্যাংক কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেন না। এভাবে চললে অচিরেই অনেক ব্যবসায়ী হারিয়ে যেতে পারেন দেনার কারণে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন