কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ভারতীয় গরু বাংলাদেশে আসা শুরু হয়েছে। বিএসএফের গুলির মুখেও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে গরু আনা হচ্ছে দেশে। পাচার হয়ে আসা গরুগুলোকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট দিয়ে বৈধ করে বাজারে বিক্রি করার প্রস্তুতি নিয়েছে।
অপর দিকে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন আশঙ্কা করছেন, ভারতীয় গরু পরীক্ষা না করে অবাধে দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করলে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে।
জানা যায়, ভারত সরকার কর্তৃক বাংলদেশে গরু রপ্তানি নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে গরু আসা শুরু হয়েছে। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ভারত থেকে অবৈধ পথে গরু কেনাবেচা শুরু করেছে দুই পাড়ের গরু ব্যবসায়ীরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব গরু আনতে গিয়ে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হচ্ছেন। তার পরেও নগদ লাভের আশায় গরু আনা হচ্ছে ভারত থেকে।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোররাতে লালমনিরহাট পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে শাহ আলম আলী নামে এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। দেখা গেছে, প্রায় প্রতিদিনই বিএসএফের গুলি উপেক্ষা করে ভারত থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমিত আকারে হলেও গরু আসছে। ধারণা করা হচ্ছে, ঈদের আগে প্রচুর পরিমাণ ভারতীয় গরুর আমদানি হবে, সেই সঙ্গে হতাহতের ঘটনাও বাড়বে।
আনন্দবাজার/এস.কে