করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল গণপরিবহন। এমন পরিস্থিতি ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালানোর অনুমতি দেয় সরকার। তবে শর্ত একটাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এর মধ্যে প্রধান শর্ত ছিল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের মাধ্যমে যাত্রীদের হাত জীবাণুমুক্ত করা।
কিন্তু গণপরিবহনে যাত্রীদের জন্য যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হচ্ছে তা দিন দিন মানহীন হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। যাত্রীরা বলছেন, গণপরিবহনে যে জীবাণুনাশক হাতে স্প্রে করা হয় তা “রঙিন পানি” ছাড়া আর কিছু নয়। এর কারণ এগুলোর কোনও ঘ্রাণ নেই।
আবার কেউ কেউ বলছেন, নাম মাত্র ডেটল, স্যাভলন কিংবা মানহীন গুঁড়া সাবান মিশিয়ে ওইসব জীবাণুনাশক তৈরি করা হচ্ছে। সঙ্গে মেশানো হচ্ছে রং। অনেক বাসের হেলপারই বলতে পারেননি এসব জীবাণুনাশক কী দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নকল সুরক্ষা পণ্যে বাজার এখন সয়লাব। আর পরিবহন সেক্টরের লোকজন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে কিংবা আসল জিনিস কিনে যাত্রীসেবা দেবে সেটা ভাবাও কঠিন ব্যপার। কারণ এমনিতেই অনেক বদনাম রয়েছে এ সেক্টরের লোকজনের নামে।
বিকাশ পরিবহন লিমিটেডের বাস কন্ডাক্টর সোহাগ হোসেন বলেন, আমাদের বাসে ওঠার আগেই যাত্রীদের স্প্রে করা হয়। স্যাভলন ও হেক্সিসল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এ স্প্রে। আর এটা দিয়ে হাত পরিষ্কার করলে দ্রুত জীবাণুমুক্ত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রহমান জানান, শুধু গণপরিবহন নয় বরং জীবাণুনাশক যেসব চ্যানেল বা টানেল তৈরি করা হয়েছে এসবে ব্লিচিং পাউডার দিয়ে স্প্রে করা হচ্ছে। সুতারং যাতায়াতের সময় যদি কারও চোখে ব্লিচিং পাউডারের পানি প্রবেশ করে তাহলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আনন্দবাজার/এম.কে