ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিরাপত্তা হেফাজতে নির্যাতন-মৃত্যু নিয়ে আসকের ৬ উদ্বেগ উত্থাপন

সম্প্রতি নিরাপত্তা হেফাজতে নির্যাতন এবং মৃত্যুর ব্যাপারে ছয় দফা উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।  আজ শুক্রবার (২৬ জুন) এক অনলাইন সভায় (ওয়েবিনারে) তারা নিরাপত্তা হেফাজতে নির্যাতন এবং মৃত্যু সংক্রান্ত বিষয়ে সাম্প্রতিক চিত্র তুলে ধরে।

‘নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে ওই সভায় আসক দাবি করে জানান, ‘হেফাজতে নির্যাতন এবং মৃত্যু আইন ২০১৩’ এর আওতায় এখন পর্যন্ত কোনও মামলার সমাধান হয়নি। হেফাজতে নির্যাতন এবং মৃত্যুর নানা অভিযোগের বিপরীতে মামলা হয়েছে মাত্র ১৭টি। কনভেনশন এগেইনস্ট টর্চারে সরকার প্রদত্ত হিসাব তুলে ধরে তারা এ উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।

এই ব্যাপারে আলোচনার শুরুতে আবু আহমেদ জানান, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে ২০১৮ সালে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটে ৪৬০টি, এর মধ্যে ৬ জনের ক্ষেত্রে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। ২০১৯ সালে ৩৭৬টি ঘটনায় ১২ জনের ক্ষেত্রে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে এবং চলতি বছরে এ পর্যন্ত ১৩৬টি ঘটনার মধ্যে ১১ জনের ক্ষেত্রে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

উদ্বেগের কথা বলতে গিয়ে ছয়টি বিষয় উল্লেখ করা হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কোন মামলা করেন না। যারা সাহস করে মামলা করেন, তাদের বিভিন্ন হয়রানি এবং হুমকির সম্মুখীন হতে হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বেশিরভাগ সময়ই এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। বিভাগীয় ব্যবস্থা কেবল অব্যাহতি বা বদলির মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে।

আইনি প্রতিকার প্রাপ্তিতে যে বাধা তৈরি হচ্ছে সে ব্যাপারে আইনজীবী ও আসকের সদস্য আসাদুজ্জামান জানান, ডাটায় যেসব বেরিয়ে আসে সেসব দৃশ্যমান, কিন্তু অদৃশ্য মানচিত্র হলো মানুষের কণ্ঠরোধ হয়ে আছে। ভয়ের সংস্কৃতি থেকে মুক্ত হতে না পারলে আমাদের এই পরিস্থিতি বদলাবে না। তথ্যগুলো উপস্থাপন করতে পারছি একারণে যে, আসক কাজটি সাহসের সাথে করছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অধীনে আর একটিও মামলা আমরা দেখতে চাই না। জনসাধারণের কল্যাণে বেঁচে থাকার যে ন্যূনতম উপাদান, সেটি নিশ্চিত করা হক।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন