ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শামীম ওসমানের নির্দেশে আবারও ডিএনডি বাসীর পাশে প্যানেল মেয়র মতি

জনপ্রতিনিধি হিসেবে ভোট চাইতে নির্দিষ্ট এলাকা কিংবা গন্ডি থাকলেও, মানুষ হিসেবে অসহায় মানুষকে সাহায্য করতে নেই কোনো সীমারেখা। এই কথাটিই বারবার প্রমান করে চলেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি ও নাসিক কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র-২ আলহাজ্ব মতিউর রহমান মতি।

২২ জুন (সোমবার) নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হয়েও তিনি ৭নং ওয়ার্ডের ডিএনডির পানিবন্দী মানুষের জলাবদ্ধতার কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে পাম্প বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্হা করেন।

নারায়ণগঞ্জ -০৪ (সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা) আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানের নির্দেশে ও প্যানেল মেয়র মতিউর রহমান মতির উদ্যোগে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি মেশিন যোগে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা ভান্ডারিপুলের পশ্চিমপাড় থেকে ড্রেজার পাইপ যোগে কেছা পাগলার ঘাট দিয়ে সরাসরি শীতলক্ষা নদীতে পানি নিষ্কাসন হচ্ছে।

সিদ্ধিরগঞ্জের সুশীল সমাজের লোকজন জানান, মতিউর রহমান মতিকে স্থানীয় জনসাধারণ দানশীল ব্যক্তি বলে থাকেন। তিনি যে আসলেই দানশীল ব্যক্তি তা তিনি আবারও প্রমান করলেন নিজ নির্বাচনী এলাকার বাইরে গিয়ে আরেক জনপ্রতিনিধির এলাকার জনগনের দুঃখ কষ্ট লাঘবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে।

স্থানীয়দের দেয়া তথ্য মতে, নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের পাশবর্তী ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা দীর্ঘ দিন ধরে ডিএনডি বাঁধের কৃত্রিম বন্যায় আবদ্ধ হয়ে আছেন। এই ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর আলী হোসেন আলা জনগণের ওই দুর্ভোগ লাঘবে এগিয়ে না আসায় এর আগেও ভুক্তভোগী অনেকে পার্শ্ববর্তী ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির সরনাপন্ন হন। তাদের এ দুরবস্থার কথা শুনে বিনাবাক্যে জনগনকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে ২টি পাম্প বসিয়ে দেন।এবারও তাঁদের পাশে দাড়িয়ে উদারতার পরিচয় দিলেন নাসিক প্যানেল মেয়র মতি।

সুমিলপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মানবাধিকার কর্মকর্তা হাজী মানিক মাস্টার জানান, ‘নাসিক প্যানেল মেয়র মতি সবসময় মানুষের পাশে থাকার চেস্টা করেন। এবারের প্রানঘাতী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় নিজ ওয়ার্ড ছাড়াও তাঁর কাছে বিভিন্ন স্হান থেকে মানুষ ত্রানের জন্য এসেছে। তিনি কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেননি। মানুষ যখনই কোন না কোন বিপদে পড়ে তাঁর কাছে ছুটে আসে তিনি সবসময় কিছু করার ব্যবস্হা করেন। কদমতলী এলাকার জলাবদ্ধ মানুষের দুর্ভোগ দেখতে বেশ কয়েকবার তিনি ছুটে গেছেন। গতবারের ন্যায় এবারও পাম্প মেশিনের সহায়তায় পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্হা করে দিয়েছেন।’

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ ডিএডির লাখো মানুষের দুর্ভোগের প্রেক্ষিতে ডিএনডির অভ্যন্তরে সৃষ্টি জলাবদ্ধতায় ক্ষমা চেয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান। পাশাপাশি পানি নিষ্কাশনে ৪৮ ঘণ্টার সময় চেয়েছিলেন তিনি। এছাড়া সেনাবাহিসীর তত্ত্বাবধায়নে ২ টি অতিরিক্ত সেচ পাম্প গত শুক্রবার চালুর আশ্বাস দিয়েছিলেন ওই এমপি। কথামত পাম্প দুটি চালু হওয়ায় ডিএনডির জলাবদ্ধতার পানি দ্রুত কমে যেতে শুরু করেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন