সম্প্রতি বাংলাদেশের পণ্যে চীন সরকারের দেয়া শুল্কমুক্ত সুবিধাকে ভারতীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে ‘খয়রাতি’ উল্লেখ করে যে খবর প্রকাশ করা হয়েছে, সেটাকে ‘ছোট মানসিকতার পরিচয়’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে ভারতীয় কয়েকটি পত্রিকার প্রতিবেদন আমাদের নজরে পরেছে। চীনের দেয়া সুবিধা সম্পর্কে যে শব্দের ব্যবহার তারা করেছে তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে এর বিরুদ্ধে আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে চাইছি না।
যেসব পত্রিকা এই ভাষা ব্যবহার করেছে তারা ‘সাংবাদিকতার নৈতিকতা বিবর্জিত’ কাজ করেছে বলেও জানান তিনি।
১৯ জুন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, চীনের বাজারে আরও প্রায় পাঁচ হাজার ১৬১টি পণ্যের উপর শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে দেশটিতে মোট শুল্কমুক্ত পণ্যের সংখ্যা আট হাজার ২৫৬টি। এর ফলে চীনে বাংলাদেশের মোট রফতানি পণ্যের ৯৭ শতাংশই শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় আসলো।
বাংলাদেশকে দেয়া চীনের এই সুবিধাকে ‘খয়রাতি’ উল্লেখ করে গত শনিবার (২০ জুন) ভারতের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি চীন ও ভারতের মধ্যে সংঘাতের জেরে বাংলাদেশকে এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে হাতে রাখতে চাইছে চীন।
কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা প্রথমে ‘খয়রাতি’ শব্দের ব্যবহার করে খবর প্রকাশ করেছিল। পরে জি নিউজের বাংলা সংস্করণ ‘২৪ ঘণ্টা’র সংবাদের শিরোনামেই ‘খয়রাতি’ শব্দ ব্যবহার করে। এমন খবর প্রকাশের পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
মন্ত্রী জানান, এটা খয়রাতি না। আর এই বিষয়ে ভারত সরকার কিছু বলেনি। তবে দেশটির কয়েকটি পত্রিকায় এহেন আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করেছে। তারা এমন শব্দ ব্যবহার করেছে যা কোনোভাবেই ব্যবহার করা উচিত হয়নি।
আনন্দবাজার/তা.তা