মাত্র ১০ দিনের প্রস্তুতিপর্ব শেষে তীব্র করোনা-সঙ্কটে আলোর মুখ দেখছে চট্টগ্রাম মেয়রের উদ্যোগে গড়ে তোলা করোনা আইসোলেশন সেন্টার। আজ রোববার (২১ জুন) রোগী ভর্তির মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে চট্টগ্রামের ২৫০ শয্যার ‘সিটি হল কোভিড আইসোলেশন সেন্টারের যাত্রা।
নগরের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনায় এ আইসোলেশন সেন্টারে’ ১৬ জন চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয়, ল্যাব টেকনোলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট ও আয়াসহ ৬০ জন লোকবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে।পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. সুশান্ত বড়ুয়াকে।
চসিকের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন চসিক স্বাস্থ্য বিভাগের ১৬ জন চিকিৎসক। বাকিরা নার্স, ওয়ার্ড বয়, ল্যাব টেকনোলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট ও আয়া। ইতিমধ্যে নিয়োগপ্রাপ্তদের করোনা স্বাস্থ্যসেবা প্রদান সম্পর্কিত তিন দিনের কর্মশালায় বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ হাসপাতালটিতে বর্তমানে প্রাথমিকভাবে ৫০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার সংগ্রহ করা হয়েছে।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, আজ রবিবার (২১ জুন) পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ২৮৮ জন। এর বিপরীতে নগরে করোনা চিকিৎসা দেওয়া হয় এমন ৮টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আইসোলেশন শয্যা আছে ৬৬৮টি। আক্রান্তের তুলনায় চিকিৎসা সেবার পরিধি খুবই কম। এটা বিবেচনায় নিয়ে কোভিড রোগীদের সেবা প্রাপ্তি সহজলভ্য করতে ও আইসোলেশন সংকট দূরীকরণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে সিটি কনভেনশন হল কমিউনিটি সেন্টারকে কোভিড আইসোলেশন সেন্টারে রূপান্তর করার উদ্যোগ নেন।
মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এ কোভিড আইসোলেশন সেন্টারটির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, ‘করোনাকালে অবনতিশীল পরিস্থিতির মোকাবেলায় সিটি হল কোভিড আইসোলেশন সেন্টারটি চট্টগ্রাম নগরবাসীর জন্য একটি আশাজাগানিয়া উদ্যোগ এবং তারা স্বস্তি ও সাহস সঞ্চয় করে বেঁচে থাকতে প্রাণিত হবে।’
মেয়র আরও বলেন, ‘এ সেন্টারে প্রথমত কোভিড-১৯ আক্রান্ত মৃদু ও মাঝারি পর্যায়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পর কোনো রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে তাকে নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স করে বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে। ভর্তি হওয়া রোগীদের চসিকের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেওয়া হবে।’
আনন্দবাজার/শহক/মতিন