বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের কারামুক্তি দেওয়া হয়েছিল। প্রায় ৩ মাস শেষ হতে চললো। বিএনপি নেত্রী করোনা পরিস্থিতির জন্য এই তিন মাস ঘরবন্দীই ছিলেন। তার চিকিৎসার জন্যও বাইরে যাওয়ার সুযোগ হয়নি এই সময়ে। তাই তার জামিনের মেয়াদ শেষ হলে কী হবে- তা নিয়েই উদ্বিগ্ন বিএনপি ও তার আইনজীবীরা।
কিন্তু দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে, জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মেয়াদ বাড়ানো এবং মুক্তির শর্ত শিথিল করে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার আবেদন করা হবে।
জানা যায়, খালেদা জিয়া মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নিজের জামিনের বিষয়াদি নিয়ে আইনজীবীদের সাথে কথা বলছেন। তিনি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া এ বিষয়ে অন্য কোনো নেতার সাথে আলাপ করছেন না।
গত ১৩ জুন এসব বিষয়ে পরামর্শ করতেই রাতে হঠাৎ করেই মির্জা ফখরুলকে ফিরোজায় ডেকে নেন খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার আবেদন করাসহ দলের বিভিন্ন বিষয়ে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আলোচনা করেন তারা। এর আগেও গত ২৬ মে তার আইনজীবী মাহবুবউদ্দিন খোকনকে বাসায় ডেকে নিয়ে নিজের মামলার বিষয়ে আলাপ করেছেন খালেদা জিয়া।
দুদকের আইনজীবী জানান, বিদেশ যেতে হলে সরকারের পাশপাশি আদালতেরও অনুমতি নিতে হবে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, এ বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই। এটা সম্পূর্ণ আদলতের বিষয়। খালেদা জিয়া চাইলে আদালতে এ বিষয়ে আবেদন জানাতে পারেন।
আনন্দবাজার/এস.কে