করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় সারাদেশের নিয়মিত আদালত বন্ধ রয়েছে। যেকারণে জরুরি মামলা শুনানির জন্য হাইকোর্টসহ সারা দেশে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সারাদেশে চলবে ভার্চুয়াল আদালত।
সোমবার এবিষয়ে সুপ্রিমকোর্ট থেকে হাইকোর্ট ও অধস্তন আদালতের জন্য পৃথক দুটি আদেশ জারি করা হয়েছে।
এছাড়া বাড়ানো হয়েছে ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চের সংখ্যা। আগের ১১টি বেঞ্চ এর সঙ্গে নতুন করে আরও ২টি ভার্চুয়াল বেঞ্চে বিচার কার্যক্রম চলবে। নতুন দুই বেঞ্চ এর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামকে। জামিন আবেদনসহ ফৌজদারি মামলার শুনানির এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে এই দুটি বেঞ্চকেও।
নিয়মিত আদালত বন্ধ থাকায় ভার্চুয়াল আদালত চালু করতে গত ৯ মে আদালতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০ নামে গেজেট প্রকাশ করা হয়। এই অধ্যাদেশে ভার্চুয়াল উপস্থিতিকে সশরীরে উপস্থিতি হিসেবে গণ্য করে আদালতকে মামলার বিচার, বিচারিক অনুসন্ধান, দরখাস্ত বা আপিল শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্কগ্রহণ, আদেশ বা রায় দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়।
অধ্যাদেশ জারি করার পর গত ১০ মে সুপ্রিম কোর্টসহ সারাদেশে ভার্চুয়াল আদালত চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওইদিনই ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগ এবং অধস্তন আদালত এর জন্য আলাদা আলাদা ‘প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ এবং আইনজীবীদের জন্য ‘ভার্চুয়াল কোর্টরুম ম্যানুয়াল’ প্রকাশ করা হয়।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস