বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) আগামী ২০২০-১২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে সামগ্রিকভাবে স্বাগত জানালেও, তারা মনে করছে পুঁজিবাজারের জন্য বাজেট প্রস্তাবনাগুলো পর্যাপ্ত নয়। সংগঠনটি দাবি জানায়, পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা বিনিয়োগে শর্ত প্রত্যাহার ও তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার কমানোসহ ৫টি বিষয় পুনঃবিবেচনা করার।
১৪ জুন এসব বিষয় তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে একটি চিঠি দিয়েছে বিএমবিএ । জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে এই চিঠির একটি অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
১১ জুন জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। তাতে ১০ শতাংশ কর দিয়ে পুঁজিবাজারসহ বিভিন্ন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে অন্যান্য খাতে বিনিয়োগে কোনো শর্ত দেওয়া না হলেও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ৩ বছরের বিনিয়োগ বহাল থাকা তথা লকইনের শর্ত দেওয়া হয়েছে।
বিএমবিএ মনে করছে প্লট ও ফ্ল্যাট কেনা, নগদ জমা, ব্যাংক জমা, সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো শর্ত না থাকায় মানুষ ৩ বছরের লক-ইন শর্তে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে উৎসাহী হবে না। তাই অন্যান্য খাতের মতো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও কোনো শর্ত থাকা উচিত নয়। শর্তটি বহাল থাকলে পুঁজিবাজারের চেয়ে ব্যাংকে আমানত রাখা বা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করার বিষয়ে মানুষ আগ্রহী বেশী হবে। এতে করে পুঁজিবাজার উপকৃত হবে না।
আনন্দবাজার/এস.কে