দেশের উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণ এবং সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য সরকারকে তহবিলের জোগান বাড়াতে অর্থের অপ্রয়োজনীয় ব্যয়, অপচয় এবং অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে। নিতে হবে বাস্তবভিত্তিক কার্যকর পদক্ষেপ।
আজ রবিবার (১৪ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো জাতীয় বাজেট ২০২০-২১ এর ওপর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক এবং রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এ কথা জানান।
তিনি জানান, অর্থমন্ত্রী অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিতকরণ, নতুন শিল্পোদ্যোক্তা সৃষ্টি, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, শিল্পায়নের প্রসার, দেশীয় শিল্পের সুরক্ষা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, সরকারের ভিশন ২০২১ ও ২০৪১, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের লক্ষ্য প্রস্তাবিত বাজেটে অন্তর্ভূক্ত করেছেন-এটা সরকারের অত্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ।
তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে এনবিআরের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হবে বড় জোর দুই লাখ কোটি টাকা। বর্তমানে চলতি অবস্থায় ২০২০-২১ অর্থবছরে নিম্নমুখী অর্থনৈতিক পরিবেশে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মত হয়নি বলে মনে হয়।
বিপিজিএমইএ সভাপতি আরও জানান, ব্যবসায় পরিচালনার (ডুয়িং বিজনেস) জটিলতা অবশ্যই কমিয়ে এনে এনবিআর অটোমেশনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, তা পুরোপুরি দক্ষতার সাথে বাস্তবায়ন করতে হবে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে