নতুন অর্থবছরের (২০২০-২১) প্রস্তাবিত বাজেটে রিকন্ডিশন্ড বা একবার ব্যবহৃত গাড়ি আমদানির ওপর শুল্কহারে কোনো পরিবর্তন আসেনি। হেরফের হয়নি গাড়ির অপচয় সুবিধার ক্ষেত্রেও। কিন্তু যেই দামের ওপর নির্ভর করে কাস্টমসে শুল্কায়ন হয়, সেই জাপানের ‘ইয়েলো বুকে’ গাড়ির দাম ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ফলে আগের তুলনায় কিছুটা দাম বেড়েছে গাড়ির।
এছাড়া কেনার পর গাড়ির সরকারি নিবন্ধন ফি বাড়ানো হয়েছে ৫০ শতাংশ। এতে গাড়ির দাম আগের মতো থাকলেও এখন থেকে নিবন্ধনে গুনতে হবে বাড়তি খরচ। পাশাপাশি বাড়তি খরচ গুনতে হবে যারা আগে থেকে গাড়ি ব্যবহার করছেন তাদেরও।
গাড়ি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।
বাংলাদেশের বাজারে রিকন্ডিশন্ড জাপানের টয়োটা ব্র্যান্ডের ‘প্রিমিও’ এবং ‘এলিয়ন’ কারের বিক্রি সবচেয়ে বেশি। এই দুই মডেলের গাড়িতে বিভিন্ন গ্রেড রয়েছে; আর গ্রেডভেদে দাম এক থেকে দুই লাখ টাকার ব্যবধান হয়।
চট্টগ্রামের ম্যাক্সিম কারের কর্ণধার সুজাউদ্দিন মামুন জানান, ২০১৮ মডেলের হাই গ্রেডের (এফইএক্স প্যাকেজ) একটি প্রিমিও কারের দাম এখন ৩৭ লাখ টাকা। বাজেটে শুল্কহার এবং অবচয়ে কোনো পরিবর্তন না হলেও জাপানের ইয়েলো বুকে প্রতি গাড়িতে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা দাম বেড়েছে। প্রতিবছরের নিয়মানুযায়ী নতুন প্রকাশিত ইয়েলো বুক ১ জুন চট্টগ্রাম কাস্টমসে দেওয়া হয়েছে। এই বইয়ে প্রকাশিত দামের ওপর শুল্কায়ন করে কাস্টমস।
তিনি আরও বলেন, ইয়েলো বুক ছাড়াও প্রস্তাবিত বাজেটে বিআরটিএ নিবন্ধন ফি বাড়ানোর কারণে প্রিমিও মডেলের গাড়িতে বাড়তি ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ নতুন গাড়ি নিবন্ধন, ফিটনেস এবং ট্যাক্স টোকেন নিতে আগে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা খরচ হলেও এখন থেকে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা গুনতে হবে। এ ছাড়া গাড়ি মালিকদের প্রত্যেকেই প্রতিবছর ট্যাক্স টোকেন নবায়নের জন্য বাড়তি ১৫ হাজার টাকা দিতে হবে। এসব কারণে গাড়ি কেনার প্রতি আগ্রহী মানুষের সংখ্যা কমবে।
আনন্দবাজার/টি এস পি