কাউকেই রেহাই দিচ্ছে না করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভয়াল ছোবল। এতে প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছেন সব বয়সী কিংবা সব শ্রেণির মানুষ। এ ভাইরাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ পর্যায়কে যেমন আক্রান্ত হচ্ছে, তেমনি বাংলাদেশের দুই মন্ত্রী এবং সাত সংসদ সদস্য (এমপি) আক্রান্ত হয়েছে। অবশ্য এদের মধ্যে দুইজন এমপি সুস্থ হয়ে গেলেও বাকি সাতজন এখন লড়ছেন করোনার বিরুদ্ধে।
এছাড়াও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম হাসপাতালে ভর্তি হয়। যাদিও সম্প্রতি নমুনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তবে আক্রন্তদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের করোনাভাইরাস পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে আজ শুক্রবার (১২ জুন)। একই সঙ্গে মন্ত্রীর স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু এবং মন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) হাবিবুর রহমানেরও করোনা শনাক্ত হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুন) তাদের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আজ ফলাফল পজিটিভ এসেছে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তারা বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে গত ৬ জুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের দেহে থেকে। তার অবস্থার অবনতি হলে ৭ জুন বান্দরবান থেকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) আনা হয়। বর্তমানে তার সেখানে চিকিৎসা চলছে ।
সাত এমপির মধ্যে যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনের রণজিত কুমার রায়ের দেহে থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত ৮ জুন। চট্টগ্রাম-৮ আসনের এমপি মোসলেম উদ্দিনের করোনার পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায় ১০ জুন। এদিকে সপরিবারে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের এমপি মো. মোস্তাফিজুর রহমান। গত ২ জুন ওই এমপিসহ তার পরিবারের মোট ১১ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
এছাড়াও ৩ জুন জামালপুর-২ আসনের এমপি ফরিদুল হক খান দুলাল, ২ জুন চট্টগ্রাম-৬ আসনের এমপি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, ১৯ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের এমপি মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল এবং ১ মে নওগাঁ-২ আসনের এমপি শহীদুজ্জামান সরকারের করোনা সংক্রমণের তথ্য জানা যায়।
আনন্দবাজার/এফআইবি
