রেলওয়ে অ্যাম্বুলেন্স এর সহায়তা না পেয়ে প্লাটফর্মেই মারা গেল রোগী। হৃদরোগের চিকিৎসা করাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে যাচ্ছিলেন আবদুল কুদ্দুস (৫৫) নামের এক ব্যক্তি। কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে নেমে হঠাৎ প্ল্যাটফর্মে অচেতন হয়ে পড়লে তাকে রামেক হাসপাতালে নিতে রাজি হয়নি রেলওয়ের অ্যাম্বুলেন্স চালক। এর কিছুক্ষণ পরেই তিনি মারা যান।
রোগীর স্বজনদের হাজার আকুতিতেও মন গলেনি অ্যাম্বুলেন্স চালকের। রেলওয়ে পুলিশের কথাও আমলে নেয়নি সেই চালক। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর ইজিবাইকে করে রোগীকে নেয়া হয় রামেক হাসপাতালে। হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন আবদুল কুদ্দুস। ছেলে ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার (১০ জুন) দুপুরের দিকে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে নামেন তিনি। দীর্ঘসময় প্ল্যাটফর্মে ছটফট করে তার মৃত্যু হয়।
রাজশাহী রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ কামাল বলেন, স্বজনরা জানিয়েছেন আবদুল কুদ্দুস হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসার জন্য তাকে রামেক হাসপাতালে নেয়া হচ্ছিল। কিন্তু রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে প্ল্যাটফর্মে মাথা ঘুরে তিনি পড়ে যান। কিন্তু পাশে থাকা রেলওয়ে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ওই ব্যক্তিকে রামেক হাসপাতালে পৌঁছাতে রাজি হয়নি। শেষে ইজিবাইকে তুলে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
অ্যাম্বুলেন্স না নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শামীম আরা বলেন, ওই রোগী রেলওেয়ে স্টেশনে মারা গেছেন। মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে নেয়ার সুযোগ না থাকায় নেয়া হয়নি। জীবিত থাকলে অবশ্যই রেলওয়ের অ্যাম্বুলেন্স তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতো।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস