শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্ষতি পোষাতে দ্রুত প্রণোদনার অর্থ চান ফুলচাষিরা

নভেল করোনাভাইরাস ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানের থাবায় বিপর্যস্ত ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের গদখালী এলাকার ফুল চাষীরা। গত আড়াই মাসে অর্ধশত কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীদের। ফলে সরকার ঘোষিত প্রণোদনার অর্থ পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা দাবি করছেন ফুলচাষিরা।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির (বিএফএস) সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, এবার যশোরের ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলার ছয় হাজার কৃষক সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর জমিতে ফুলের আবাদ করেছিলেন। ফুল চাষে আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার রেকর্ড পরিমাণ ফুল উৎপাদনের সম্ভাবনা ছিল।

তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস ও সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ফুল সেক্টরের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একান্ত যোগাযোগের মাধ্যমে কৃষিমন্ত্রীর সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচটা সেক্টরের ওপর ৪ শতাংশ সুদে পাঁচ হাজার কোটি টাকার যে কৃষি প্রণোদনা ঘোষণা করেন, তার মধ্যে ফুলচাষও অন্তর্ভুক্ত আছে। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় কৃষি প্রণোদনার এই ঋণ ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীদের প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা ছাড়া সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ বর্গাচাষিসহ ফুল সেক্টরের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত ঋণ সরবরাহের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারি নীতিনির্ধারকদের প্রতি বিশেষভাবে দাবি জানাচ্ছি। তাতে করে কিছুটা হলেও সম্ভাবনাময় ফুল সেক্টরটির ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি হবে।

ঝিকরগাছার পটুয়াপাড়া এলাকার ফুলচাষি কৃষক জাহাঙ্গীর জানান, করোনাভাইরাসে ফুল বিক্রি না হলেও ক্ষেতে ছিল। কিন্তু আম্পান ঝড়ের তাণ্ডবে সব শেষ হয়ে গেছে। আড়াই বিঘা জমিতে গোলাপ ফুল চাষ করেছিলাম। ক্ষতিগ্রস্ত ফুল ও গাছ বাগান থেকে প্রতিদিন কেটে ছাগল-গরুকে খাওয়াতে হচ্ছে। কারণ গোলাপ না কাটলে বাগান নষ্ট হয়ে যায়। একদিকে ফুলের বেচাকেনা নেই, অন্যদিকে ফুল কাটার জন্য শ্রমিক খরচ গুনতে হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  বিনামূল্যে পশু চিকিৎসা

ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুম হোসেন পলাশ বলেন, ইতোমধ্যে ফুল চাষের সঙ্গে জড়িত ৩০০ জন চাষির মাঝে বিনামূল্যে আউসের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৫০০ কৃষকের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। যারা প্রকৃত ফুলচাষি তাদের চিহ্নিত করে আরও সহযোগিতা করার চিন্তাভাবনা আমাদের আছে।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন