ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা শনাক্তে ঢাবির নতুন পদ্ধতি, ফলাফল মিলবে ৪০ মিনিটে

করোনাভাইরাস শনাক্তের নতুন একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। এ পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা যাবে মাত্র ৪০ মিনিটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জেবা ইসলাম সেরাজের নেতৃত্বে এ পদ্ধতির যাচাই বাচাই করা হয়।

রবিবার (৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আরটি ল্যাম্প টেস্ট পরীক্ষা পদ্ধতি কোভিড-১৯ রোগীদের দ্রুত সনাক্তকরণ এবং তাদের দ্রুত পৃথকীকরণ করতে সাহায্য করে। এটি অত্যন্ত সহজ একটি ডায়াগনোসিস পদ্ধতি। এটি দেশের প্রবেশ পথগুলোতে এবং উপজেলা পর্যায়ে খুব সহজেই প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ এবং ‘বায়োটেক কনসার্ন যৌথভাবে বিএসএমএমইউ তে এই পরীক্ষাটির কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছে। পরবর্তীতে ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন বোর্ডে অনুমতির জন্য আবেদন করা হবে। তাছাড়া, এই কিটটি আমেরিকান মলিকিউলার বায়োলজি রিএজেন্ট এবং কিট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নিউ ইংল্যান্ড বায়োল্যাবস দ্বারা উৎপাদিত এবং বাংলাদেশে ‘বায়োটেক কনসার্ন’ এর একমাত্র পরিবেশক।

নিজেদের পরীক্ষা সম্পর্কে অধ্যাপক ড. জেবা ইসলাম সেরাজ বলেন, এই কিটটা গত ৪-৫ বছর ধরে এভেইলেভল ছিলো। এ কিট দিয়ে ডিএনএ এবং আরএনএ শনাক্ত করা যায়। কানাডা সহ কয়েকটি দেশ থেকে এ পদ্ধতিতে করোনা শনাক্ত করা যায় বলে জানানো হয়। আমরাও পরীক্ষা করে দেখেছি। ৪০ মিনিটের কালার রিঅ্যাকশানের মাধ্যমে করোনা পজেটিভ কি নেগেটিভ তা জানা যায়। নেগেটিভ হলে এটি গোলাপী রং ধারণ করে আর পজেটিভ হলে হলুদ রং ধারণ করে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এটি আমাদের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ। আমাদের এখন বেশী পরিমাণ টেস্ট করে করোনা আক্রান্তদের শনাক্ত করতে হবে। সারাদেশে এ পদ্ধতি কার্যকর করতে পারলে আমরা দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে পারবো।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন