করোনাভাইরাস আর কারণে দীর্ঘ ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি চলায় পাসপোর্টের স্তূপ জমেছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরে (ডিআইপি)। দেশজুড়ে চলবস্থার কারণে দুই লাখেরও বেশি আবেদন জমা পড়ে আছে অধিদফতরে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশই প্রবাসীদের আবেদন।
অনেকই সাধারণ ছুটি ঘোষণার ২/৩ মাস আগে আবেদন করেছেন। যারা সাধারণ ছুটি ঘোষণার আগে পুনরায় পাসপোর্ট প্রদান (রিইস্যু) ও নতুন পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন, তাদের পাসপোর্ট প্রদান বন্ধ রয়েছে। শুধু প্রবাসী ও জরুরি প্রয়োজনে রিইস্যুর (পুনরায় আবেদন) আবেদনকারীদের পাসপোর্টই দেওয়া হচ্ছে।
সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির কারণে বহিগর্মন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের সকল আঞ্চলিক অফিস বন্ধ হয়ে যায় ২৫ মার্চ থেকে। এ সময়ে অনলাইনে আবেদন করাও বন্ধ করে দেয়া হয়। যেসব পাসপোর্ট আগেই গ্রাহকদের দেয়ার কথা ছিল অফিস বন্ধ হয়ে যাত্তয়ায় তাও দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এতে করে নতুন পাসপোর্ট ও রিইস্যু করা দুই লাখ আবেদন জমা পড়ে থাকে।
বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্র জানায়, বিদেশ মিশনে প্রবাসীদের আবেদন করা পাসপোর্টগুলো রিইস্যু করা হচ্ছে। সেই কাজও চলছে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে। আগে স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিদিন ২০ হাজার পাসপোর্ট বই বিতরণ করা হতো। পাসপোর্ট বই ছাপানোর কাজটি কয়েকটি শিফটে ভাগ করে অল্প লোকবল দিয়ে চালানো হচ্ছে।
বহিগর্মন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ বলেন, ই-পাসপোর্ট ও এমআরপি দুই ক্ষেত্রে নতুন পাসপোর্ট আবেদন বন্ধ রয়েছে। শুধু সীমিত আকারে পাসপোর্ট রিইস্যু করা হচ্ছে। কারণ নতুন পাসপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে পাসপোর্ট গ্রহীতার ছবি তোলা, ফিঙ্গার প্রিন্ট, আইরিশ পিকচারসহ বেশ কিছু কার্যক্রম রয়েছে যেগুলোতে গ্রহীতাকে সরাসরি অফিসে আসতে হবে। এই কার্যক্রম সম্পন্ন করার সময় করোনা ছড়িয়ে যাত্তয়ার আশঙ্কা থাকে। এটা সম্ভব নয় বলে নতুন পাসপোর্টের আবেদন এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, করোনার এই সংকটের মধ্যেও পাসপোর্ট প্রিন্টের কাজ চলছে। যাদের জরুরি প্রয়োজন, তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে পাসপোর্ট প্রিন্ট করা হচ্ছে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস