কক্সবাজারে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। প্রতিদিন জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা রোগির সংখ্যা। রেকর্ড করোনা রোগি শনাক্তের পাশাপাশি বাড়ছে করোনায় মৃত্যুর মিছিল।
সোমবার (১ জুন) করোনা উপসর্গ নিয়ে কয়েক ঘন্টার ব্যাবধানে মৃত্যুবরণ করেছে পাঁচজন। এদের মধ্যে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারাগেছে চারজন। অপরজনে টেকনাফে।
এ নিয়ে কক্সবাজার জেলায় করোনায় ১৯জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৮০৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩১ জন রোহিঙ্গা।
এদিকে কক্সবাজারে করোনায় মৃত্যুর মিছিল ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন সচেতন নাগরিকরা। অক্সিজেন সংকট ও পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় কক্সবাজারে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।
অক্সিজেন সংকটের কারণে সোমবার সকালে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ করিমের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর পরিবার। অন্যরাও অবহেলা ও চিকিৎসা সংকটসহ নানান অভিযোগ তুলেছেন।
কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর বলেন, অবহেলা ও অক্সিজেনের অভাবে মোহাম্মদ করিমের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদের বেলায় ও হয়তো তাই ঘটছে যা আমরা জানি না।তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কনফারেন্সে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং নেতারা করোনা মোকাবেলায় সকল প্রস্তুুতি আছে এবং কিছু প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছিলেন। তাই এই মৃত্যুর দায় তাদেরকে নিতে হবে। না হয় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর অভিযোগ করতে বাধ্য হব।
অভিযোগের ব্যাপারে জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মহিউদ্দিন বলেন, অক্সিজেন পর্যাপ্ত আছে। মূলত ভেন্টিলেটরের অভাবে রোগির মৃত্যু হচ্ছে। তবে মৃত্যুর দায় প্রশ্নে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে, করোনা আক্রান্ত কিছু সংখ্যক রোগীর হঠাৎ এমন এক পর্যায়ে চলে যায় তখন ভেন্টিলেটর ছাড়া রোগী বাঁচিয়ে রাখা অসম্ভব। আধুনিক উন্নত ব্যবস্থা কৃত্রিম শ্বাস দিতে না পারলে মুহূর্তেই রোগে মৃত্যুবরণ করতে পারে। তবে বেশিরভাগ করোনা রোগী স্বাভাবিক চিকিৎসায় ভালো হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।
আনন্দবাজার/শাহী