অ্যাপ বন্ধ, ঘুরছে না গাড়ির চাকা। সেইসাথে থেমে যেতে বসেছে জীবনের চাকা। ক্ষুধার যাতনা আর পরিবারের সদস্যদের মলিন মুখ বাধ্য করেছে পথে নামতে। বাইকের চাকা ঘুরিয়ে, জীবনের চাকা সচল রাখতে যাত্রী পাওয়ার আশায় রাস্তার মোড়েই এখন প্রতীক্ষা করছে হাজারো রাইডার।
দেখাযায়, উবার, পাঠাও, ও-ভাই, সহজসহ রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর চালকরা ঢাকার বিভিন্ন সড়কের মোড়ে যাত্রির জন্য করতেছি তীর্থ কাকের মত অপেক্ষা করছে। যাত্রী পেলেই চুক্তিভিত্তিক ছুটছে এসব মোটরসাইকেল। কারণ অ্যাপে সেবা দেওয়ার সুযোগ আপাতত নেই। জীবনের তাগিতেই এই পথে হাজারো রাইডার।
প্রানঘাতী করোনা ভাইরাস রোধে গণপরিবহনের পাশাপাশি রাইড শেয়ারিং সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তসাপেক্ষে ৩১ মে থেকে গণপরিবহন চালুর অনুুুুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে অ্যাপ ভিত্তিক যানবাহনের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. ইউছুব আলী মোল্লা (অতিরিক্ত সচিব) বলেন, ‘রাইড শেয়ারিং সেবার বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। গত ২৯ মে বিকালে গণপরিবহন চালুর বিষয়ে আমাদের সঙ্গে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বৈঠক হয়েছে। তবে অ্যাপভিত্তিক যানবাহন নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও হয়নি। তাই এ বিষয়ে আপাতত কিছু বলা যাচ্ছে না।’
করোনা ভাইরাস মহামারি দেখা দেওয়ার পর গত ২৬ মার্চ থেকে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে চিঠি দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে অনলাইন ভিত্তিক এই সেবা। তাই এর সাথে থাকা চালকরা এখন চুক্তিভিক্তিক ট্রিপ দিচ্ছে।
আনন্দবাজার/এস.কে