করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশের মতো রাঙামাটিতে জারি করা পর্যটন স্পটের উপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকছে। তবে দুইমাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর রবিবার থেকে খোলা হচ্ছে রাঙামাটির ৫১টি আবাসিক হোটেল। শনিবার বিকেলে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন সূত্রে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ এর বিষয়টি নিশ্চত করা হয়েছে।
গত ১৮ মার্চ রাতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে রাঙামাটির পর্যটন স্পটগুলোর উপর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। তার পরদিন থেকেই রাঙামাটির সকল আবাসিক হোটেল-মোটেলও বন্ধ করে দেয়া হয়। রাঙামাটিতে অবস্থান করা পর্যটকরাও রাঙামাটি ছাড়েন।
শনিবার সকাল থেকে রাঙামাটি শহরের আবাসিক হোটেলগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু করেছেন হোটেল মালিকরা। শহরের প্রায় হোটেলে এই চিত্র দেখা গেছে। তবে পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেলটি এখনো খোলার সিদ্ধান্ত না হলেও, বুকিং পেলে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে সেটিও খোলার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানা যায় পর্যটন কর্পোরেশন সূত্রে।
রাঙামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মঈনউদ্দিন সেলিম জানিয়েছেন, আমাদের সংগঠনের আওতায় থাকা ৫১টি আবাসিক হোটেল রবিবার সকাল থেকে খোলা হবে। তবে আগের মতো স্বাভাবিক ভাবে খোলা হবে না। স্বাভাবিকের মত হোটেল কর্মচারিদেরও কাজে নিয়োগ দেয়া হবে না, প্রাথমিক অবস্থায় স্বল্পসংখ্যক কর্মচারি কাজে যোগদান করবে। আমরা সিংঙ্গেল রুমে একজনের বেশি রাখবো না। বিশেষ করে প্রাধান্য দেয়া হবে ডাবল রুমগুলোকে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের ডেপুটি কালেক্টর উত্তম কুমার দাশ জানিয়েছেন, এখনো জারি রয়েছে পর্যটন স্পটের উপর নিষেধাঞ্জা। কোন পর্যটন স্পট খোলা হবে না। তবে হোটেল খোলা হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস/এম ডি