করোনাসৃষ্ট পরিস্থিতিতে দরিদ্রগোষ্ঠী আরো হতদরিদ্র হয়ে পড়ছেন। কর্মহীন নিম্ন আয়ের মানুষগুলো নেমেছে রাস্তায়। লোকের কাছে সাহায্যের জন্য হাত পাততে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
জরিনা বেগম। ফুটপাতে একটা চায়ের দোকানী ছিল তার। সেই আয়ে সংসারটা একরকম টেনে নিয়ে যেতেন তিনি। করোনার কারণে বন্ধ হয়েছে তার চায়ের দোকান, বন্ধ হয়েছে রোজগারের একমাত্র অবলম্বন। বাধ্য হয়ে এখন রাস্তায় নেমেছেন তিনি।
এমন হাজার হাজার দরিদ্রের জায়গা হয়েছে রাস্তায়। এদের মধ্যে একজন জানান, শারীরিকভাবে সক্ষম হওয়ার পরও কাজ করতে পারছি না। ফুটপাতে বসেছি কিছু সাহায্যের জন্য। ঘরে একফোঁটা খাবার নেই। আমার একটা চায়ের দোকান ছিলো তাও করোনার কারণে এখন বন্ধ, বাধ্য হয়েই রাস্তায় আসছি।
আরেকজন জানান, আগে বাসা-বাড়িতে কাজ করতাম এখন কেউ ঘরে ঢুকতে দেয়না করোনার ভয়ে। আয় রোজগার সব বন্ধ। এদিকে স্বামীটা অসুস্থ হয়ে বাসায় পরে আছে, বাধ্য হয়েই হাত পাততে হচ্ছে লোকের কাছে। সারাদিন রাস্তায় থাকলে কখনও কিছু পাই আবার কখনও একদমই পাইনা।
শূন্য চোখে রাস্তার দিকে চেয়ে অপেক্ষা কখন একটা গাড়ি থামবে। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষার পরেও কেউ হয়তো থামে, বেশিরভাগই চলে যায়। সারাদিনে যা পাওয়া যায় তাই দিয়েই কোনরকমে ক্ষুধার জ্বালা মেটে এই নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর।
আনন্দবাজার/তা.তা