গাজীপুরে শ্রীপুরে মাওনা এলাকার লবণদহ খালটিতে দূষণের পরিমাণ এতই বেশী যে, মাছসহ কীটপতঙ্গ মরে সব সাবাড় হয়ে গেছে। অথচ কয়েক বছর আগেও খালটি বড় ছিল। তখন খালে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যেত।
বর্তমানে দুই পাশের মাটি ভরাট হয়ে ছোট্ট খালে পরিণত হয়েছে।প্রবাহমাণ লবণদহ্ খালটি উৎপত্তিস্থল ভালুকার খিরু নদী থেকে শ্রীপুর উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মির্জাপুরে তুরাগ নদীর উপর পতিত হয়েছে। বর্তমানে খালটি পরিবেশ ও পানি দূষণের স্বীকার। মাওনা অংশের পর থেকে প্রায় পুরো লবণদহ খালটিই বর্তমানে দখল ও দূষণের শিকার!
সাধারণ জনগন বলেন, গোসল করা, মাছ ধরা, ধানের জমিতে সেচের চাহিদা পূরণ সবই হতো এই খালকে কেন্দ্র করে। কিন্তু বর্তমানে পানি দূষনের ফলে সেচ তো দুরের কথা বিভিন্ন কলকারখানার কেমিক্যাল এর কারণে খালে কোনো কিছু জীবিত থাকছে না।
মাওনা এলাকার পিয়ার আলী বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজের প্রভাষক, মোঃ সাজেদুল ইসলাম সুরুজ জানান, লবলদহ খালটি একসময় কৃষকের সেচের জন্য একটি মাধ্যম ছিল আশেপাশের জমিগুলোতে খাল থেকে পলি পড়ে প্রচুর ধান চাষ হত এবং দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন ছোট মাছের মাছ পাওয়া যেত এখন সব বিলীন হয়ে গেছে। বিভিন্ন সময় খালটি রক্ষার জন্য ভিন্ন ভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়।
নদী পরিব্রাজক দল শ্রীপুর শাখার সাঈদ চৌধুরী জানান, আমাদের পক্ষ থেকে আমরা লবণদহ খালটি রক্ষায় অনেকবার মানববন্ধন করেছি, এই লবণদহ খালের উপরে একটি থিসিস করার পরিকল্পনা গ্রহন করেছি এবং আগামীতে লবণদহ খালকে প্রাকৃতিক স্বচ্ছ জলের ধারক হিসেবে যাতে পাওয়া যায় সে লক্ষে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষনও করেছি। যদি সব ফ্যাক্টরীগুলো নিয়ম তান্ত্রিক উপায়ে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করে ও ইটিপি সঠিকভাবে চালায় তবে এই লবণদহ খালটি একটি সম্পদ হয়ে উঠতে পারে।
আনন্দবাজার/শাহী