ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১লা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদে শোলাকিয়ায় এমন নির্জনতা আগে দেখেনি কেউ

এ যেন অবিশ্বাস্য! এক দিন। গত পৌনে তিনশ বছরের ইতিহাসে চলতি বছর প্রথমবারের মতো ঈদের দিনে নির্জনতা দেখাল উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দান! এমন নির্জনতা কেউ দেখেনি আগে।

ঈদের জামাতে অনেক মানুষের ভীর থাকার কথা ছিল এ ময়দান। ঈদের দিন ভোর থেকে বিশালায়তনের এ ঈদগাহ ঘিরে থাকত প্রশাসনের প্রস্তুতি যজ্ঞ! ঈদের আগের দিন থেকে দেশে-বিদেশের মুসল্লিদের মাঠে অবস্থান এবং রাত্রিযাপন ছিল স্বাধারণ এক দৃশ্য। তবে এবারের ঈদে ইতিহাসের এক নতুন সাক্ষী হয়ে থাকল শোলাকিয়া!

করোনার সংক্রমণ বদলে দিয়েছে ২৭০ বছরের ঐতিহ্য। এই প্রথমবারের মতো এমন নির্জনতা নিয়ে একটি ঈদের সকাল পার করল শোলাকিয়া।  এর আগেও অনেক বাধা-বিপত্তি এসেছে কিন্তু বন্ধ হয়নি শোলাকিয়া মাঠের ঈদের জামাত। এমনকি জামাত শুরুর আগে জঙ্গি হামলার সময়েও বন্ধ হয়নি ঈদের জামাত। একদিকে পুলিশের সাথে জঙ্গিদের বন্দুকযুদ্ধ চলছে,অপরদিক অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদের নামাজ।

এ বছর করোনা মহামারির জন্য শোলাকিয়া মাঠে ঈদের জামাত সম্পন্ন হয়নি। এ দিকে শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত না হওয়ায় কিশোরগঞ্জ যেন এক অচেনা এক জনপদ। এবার  প্রশাসন বাহিনীর গাড়িবহরের ইমার্জেন্সি হুইসেল, ট্রাফিক পুলিশের ঘামঝরা অবস্থান এবং দেশ-বিদেশের সংবাদকর্মীদের কর্মব্যস্ততা ছিল ঈদের সকালের চিরচেনা দৃশ্য।

এবার শোলাকিয়ায় ১৯৩তম  ঈদের বড় জামাত ছিল। ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সাওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী জানান, আমি কিশোরগঞ্জে যোগদানের পর থেকে সভাপতি হিসেবে এখন পর্যন্ত চারটি ঈদের জামাত পেয়েছি। এবারই প্রথমবারের মতো মনে হচ্ছে একটা শূন্যতা যেন বিছিয়ে আছে শোলাকিয়ায়।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

 

সংবাদটি শেয়ার করুন