ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ঈদ করতে যাওয়া যাবে এমন ঘোষণায় সকল রেন্ট-এ-কারই এখন হয়ে উঠেছে ব্যক্তিগত গাড়ি। হায়েস মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যানসহ অন্যান্য গাড়ি ভাড়া করে গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরছে মানুষ। রোববার (২৪ মে) সকাল থেকেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে এমন চিত্র দেখা যায়।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাবতলী, আমিনবাজার, হেমায়েতপুর, সাভার, নবীনগর, নয়ারহাট, ধামরাইসহ বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে এবং অন্যান্য মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এমন চিত্রই দেখা গেছে। এসব স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলো ডেকে ডেকে চুক্তিতে যাত্রী তুলে চলে যাচ্ছে গন্তব্যে। এ যেন গণপরিবহনের ভিন্ন এক রূপ।
স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই ঈদের আগের দিনও বাড়ি ফিরছেন মানুষ। শারীরিক দূরত্ব না মেনে বিভিন্ন ছোট যানবাহনে গাদাগাদি করে ঢাকা ছাড়ছেন অনেকেই।করোনা সংক্রমণ রোধে সব ধরনের যাত্রীবাহী যানবাহন বন্ধ থাকলেও থেমে নেই ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল। মোটরসাইকেল এবং ব্যক্তিগত গাড়ি ভাড়া করে ছুটছেন মানুষ।
সড়কে পুলিশের তেমন কড়াকড়ি না থাকায় থ্রি হুইলার, সিএনজিসহ নানা ছোট যানবাহনে করে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে আসেন যাত্রীরা। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই গাদাগাদি করে ফেরিতে ওঠেন তারা।মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ঘাটেও ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রীদের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। ৩ থেকে ৪ গুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন অনেকে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, চলাচলের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব মানছেন না কেউই। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়েছে কয়েকগুণ।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস/এ এস