ঢাকা | শুক্রবার
২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লকডাউনে দুর্দিন দর্জিবাড়িতে

চাঁদ উঠলেই ঈদ উল ফিতর। তবে এবারের ঈদ অন্যান্য বছরের মতো আমেজ নিয়ে আসেনি। করোনা পরিস্থিতিতে অন্যান্য বছর ব্যস্ত থাকা টেইলার্স মালিক ও দর্জিরা এবছর অলস বসে আছেন। এমনকি দোকান ভাড়া ও কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

রাজধানীর খিলগাঁও তিলপাপাড়া কাপড় গলিতে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সেলাইয়ের কাজ করছেন দিদার হাওলাদার। তিনি মৌসুমী টেইলার্সের মালিক। তিনি বলেন, এখন ব্যবসায়ী জীবনে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছি। অতীতে কখনও এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়নি। রমজানের ঈদের সময় ১৫ রমজান যাওয়ার পর আর কোনও অর্ডার নিতাম না। কারণ যেসব অর্ডার তার আগে নেওয়া হতো সেগুলো সরবরাহ করতেই হিমশিম খেতে হতো। কাজের এমনই চাপ ছিল। আর এ বছর সেই চিত্র পুরোপুরি উল্টো। ঈদ ছাড়া বছরের অন্য সময়ের চেয়েও গ্রাহক অনেক কম।

দিদার হাওলাদারের পাশে বসা গ্রাহক নাজমা বলেন, অন্যান্য বছর মামার (দিদার হাওলাদার) দোকান থেকে ছেলে-মেয়ের পাঁচ থেকে ছয়টা জামা সেলাই করাতাম। তবে এ বছর শুধু ছোট্ট মেয়ের জন্য একটা জামা সেলাই করিয়েছি। নিজের জন্য আর কিছুই করিনি। হাতে কোনও টাকা-পয়সাও নেই। মানুষ এখন ঠিকমতো ভাত খেতে পারছে না, জামা-কাপড় বানাবে কীভাবে?

মাইশা টেইলার্সের মালিক বিলকিস বেগম বলেন, লাভের তো আশাই করছি না। চিন্তা হচ্ছে যে দুই জন সহযোগীকে রেখেছি, ঈদে তাদের মুখ উজ্জ্বল করবো কীভাবে। দোকান ভাড়া কোথা থেকে দেবো? দোকানে তো কোনও কাজ নেই। মানুষ আসছে না। আসলেও অনেক দর কষাকষি করে। লাভই করা যায় না। এ অবস্থায় ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে খুবই কষ্ট করছি।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন