সৌদির সঙ্গে মিল রেখে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৭টি উপজেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে আজ উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। দেশে প্রচলিত নিয়মের একদিন আগেই এসব গ্রামের প্রায় দুই হাজার পরিবার ঈদ উদযাপন করছে।
আজ রোববার সকাল সাড়ে সাতটায় ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মীর্জাখীল দরবার শরিফে।
হুজুর কেবলার ছোট শাহজাদা মোহাম্মদ মসউদুর রহমান জানান, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ভিন্ন পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে এবারের ঈদ। ঈদ জামাতে ছিল না বাইরের মুসল্লীদের ভিড়। শুধুমাত্র দরবারের অনুসারীরা নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে নামাজ আদায় করেছেন।
জানা যায়, চার মাযহাবের সমন্বিত ‘আল ফিকাহ আলা মাযাহিবিল আরবায়া’ নামক গ্রন্থের ভাষ্যমতে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে চাঁদ দেখা যাওয়ার খবর পাওয়া গেলে সব স্থানেই উক্ত চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র ঈদ উদযাপিত হয়। এ চাঁদ নিকটবর্তী দেশে দেখা যাক বা দূরবর্তী দেশে দেখা যাক এতে কোন পার্থক্য নেই। তবে চাঁদ দেখার সংবাদ নির্ভরযোগ্য পদ্ধতিতে অন্যদের কাছে পৌঁছাতে হবে। সে অনুসারে সাতকানিয়া মীর্জাখীল দরবার ও চন্দনাইশ জাহাঁগিরিয়া দরবার শরিফের অনুসারীরা আড়াই’শ বছর ধরে এদেশে আগাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছেন।
চট্টগ্রামের যেসব গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে সেগুলো হলো, সাতকানিয়ার মীর্জাখীল, চরতি, সুইপুর, গাটিয়াডাঙ্গা ও কেরাণীহাট, পটিয়া উপজেলার কালারপোল, হাইদগাঁও, মল্লপাড়া ও বাহুলী, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, গাছবাড়িয়া, হারালা, বাইনজুড়ী, কানাইমাদারি ও ঢেমশা, আনোয়ারার তৈলারদ্বীপ, বরুমছড়া, বারখাইন, সরকারহাট, গহিরা ও বারশত, বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ, খরণদ্বীপ, পূর্ব গোমদণ্ডী ও পশ্চিম কধুরখীল, বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, পুঁইছড়ি ও ডোমার এবং লোহাগাড়ার ধর্মপুর ও কলাউজান।
আনন্দবাজার/টি এস পি