ঢাকা | রবিবার
১৩ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৩০শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে আম্পানে ঘরবাড়ি, বেড়িবাঁধ, মৎসঘেরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুপার সাইক্লোন ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে উপকুলীয় জেলা বাগেরহাটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় চার সহাস্রাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিডর ও আইলায় বিধ্বস্থ হওয়া এলাকায় ফের আম্পান আঘাত হেনেছে। শক্তিশালী এ ঝড়ের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে উপকূলীয় এ জেলার গোটা এলাকা। ঘুর্নিঝড় আম্পানের তান্ডবে বাগেরহাটে প্রায় ৫ হাজার মৎস্য খামর ভেসে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বাঁধের আশপাশের কয়েকটি গ্রামের নিম্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এদিকে বাগেরহাট সদরের ভৈরব ও দড়াটানা নদীর তীরের বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকছে। এতে জোয়ারের সময় পানিবন্দি হয়ে পড়ছে কয়েক হাজার মানুষ। ঝড়ে গাছপালা পড়ে বিছিন্ন রয়েছে প্রত্যন্ত এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ। তবে সকাল থেকেই জেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করতে কাজ শুরু করে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক রঘুনাথ কর বলেন, “ঘূর্নিঝড়ের আগেই জেলার বোরো ধান কৃষকেরা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছে। তবে ঝড়ে আউস ও গ্রীষ্মকালীন সবজির সামান্য ক্ষতি হয়েছে, তা নিরুপনের জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে”। আম্ফানের তান্ডবে জেলায় কৃষকদের সাড়ে ৬ কোটি ৪০ লাখ ৭৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। বিধ্বস্ত ঘরগুলোর মধ্যে চার হাজার ৩৩৯টি ঘর আংশিক এবং ৩৪৭টি ঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী, নগদ টাকা ও টিন বিতরণ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

প্রাথমিকভাবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলায় দূর্গত লোকজন ৫৩৩১ জন, ৪৩৪৯টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ, ৩৪৭ টি বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ, এবং প্রায় ৪৬৩৫ টি মৎস ঘের প্লাবিত হওয়ার ধারনা করা হচ্ছে। বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক জানান, ঝড়ে জেলার ৪ হাজার ৬শত ৩৫টি মৎস্য ঘের ভেঁসে গেছে। সব থেকে বেশী ক্ষতি হয়েছে মোংলা, রামপাল, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ উপজেলায়। সরকারী ভাবে ক্ষতি ধরা হয়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। তবে বেসরকারী হিসেবে এ ক্ষতির পরিমান আরোও বেশি বলে জানিয়েছেন চিংড়ি চাষীরা।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন