ঢাকা | শুক্রবার
১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদ উপলক্ষে ডিএমপি’র ১৪ নির্দেশনা

সম্প্রতি আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুুলিশের (ডিএমপি) পক্ষে থেকে ১৪টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাসের প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ধর্মপ্রাণ সাধারণ জনগণকে নির্দেশনাসমূহ ঢাকা বাসীকে মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানানো হয় ডিএমপির পক্ষ থেকে।

চলতি বছর  করোনার কারণে ঈদ-উল-ফিতরের দিন ঈদগাহ কিংবা উন্মুক্ত স্থানে পবিত্র ঈদের নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে না। সে জন্য মুসলমানদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদের নামাজের জামায়াত খোলা স্থানের পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।

নির্দেশনাগুুলো হলো:

১. ঈদের নামাজের জামায়াতের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে।

২. জামায়াতের সময় মসজিদে কোন প্রকার কার্পেট বিছানো যাবে না। প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে বাসা থেকে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে। মসজিদের রাখা কোন জায়নামাজ এবং টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৩. করোনাভাইরাস প্রতিরোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে প্রবেশ মুখে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

৪. মসজিদের ওযুখানা ব্যবহার না করে প্রত্যেককে নিজের বাসস্থান থেকে ওযু করে মসজিদে আসতে হবে ও ওযু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৫. ঈদের নামাজের জামায়াতে আগত সকল মুসলমান ভাইকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।

৬. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে।

৭. এক কাতার  থেকে অন্য কাতার দূরত্ব রাখতে হবে।

৮. করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে মসজিদে জামায়াত শেষে কোলাকুলি ও পরস্পর হাত মেলানো থেকে বিরত থাকুন।

৯. মসজিদে শৃঙ্খলার সাথে প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক ব্যবস্থা রাখার জন্য মসজিদ কমিটিকে অনুরোধ জানানো হলো।

১০. করোনা পরিস্থিতিতে আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিবেশীদের বাসায় জাওয়া-আসা করা থেকে বিরত থাকুন।

১১. ঈদের দিন এবং পরবর্তী সময়ে বিনোদন কেন্দ্রে যাতায়াত না করে নিজের বাসায় অবস্থান করে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ উদযাপন করুন।

১২. ঈদ উপলক্ষ্যে যারা ঢাকার বাইরে যাবেন তারা তাদের বাসা অথবা ফ্ল্যাটের মেইন গেটে অটোলক ব্যবহার করুন ও বাসাবাড়ি ত্যাগের আগে রুমের দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করুন।

১৩. মালিকপক্ষ নিজ নিজ মার্কেট/শপিং মলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করুন ও আপনার এলাকার থানা/ফাঁড়ির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রাখুন।

১৪. খালি বাসায় মূল্যবান এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী না রেখে ঢাকায় অবস্থান করছেন এমন আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় সেগুলো রেখে যান।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন