বনের গাছপালা এবং বন্য প্রাণী বনের এবং পরিবেশের শোভা। কিন্তু সেই শোভা যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে পরিবেশ, প্রতিবেশ ব্যবস্থা ও জীববৈচিত্র্যের ওপর নেমে আসে অনেক বিপর্যয়। প্রাকৃতিকের স্বাভাবিক ভারসাম্য ক্ষয় হলে মানুষের অস্তিত্বের ওপর আঘাত আসে। তাই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভারসাম্য বজায় এবং সূরক্ষিত রাখতে হবে দেশের বন ও জীববৈচিত্র্য। সম্প্রতি এমন কথাই বলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
আজ শুক্রবার (২২ মে) বন অধিদপ্তরের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক অনলাইন আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, জীববৈচিত্র্য হচ্ছে খাবার নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। বিশ্বের অর্থনীতির ৪০ শতাংশ ও দরিদ্র্য মানুষদের চাহিদার ৮০ শতাংশ আসে জৈবসম্পদ থেকে। বর্তমানে জনসংখ্যার প্রয়োজনে ধ্বংস হচ্ছে বন-বনানী। তাই এবারের আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস-২০২০ এর প্রতিপাদ্য- ‘Our solutions are in nature’, – ‘প্রকৃতিতেই রয়েছে আমাদের সমাধান’ তাই সময়োপযোগী হয়েছে।
সরকারের আওতায় বিভিন্ন কার্যক্রম ও জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বর্তমানে বাংলাদেশের বৃক্ষ এবং ভূমির পরিমাণ দেশের মোট আয়তনের ২২.৩৭%, যা ২০২৫ সালের মধ্যে ২৪% এর বেশি উন্নয়ন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সহায়তামূলক বন ব্যবস্থাপনা ও বন নির্ভর মানুষের বিকল্প আয়ের সুযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে বনের উন্নয়ন করার লক্ষ্যে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে