ঢাকা | সোমবার
১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিধ্বংসী আম্পানে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে সুন্দরবন উপকূল

বিধ্বংসী আম্পানের তান্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকা। বুধবার রাতব্যাপী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার উপকূলীয় এলাকার হাজার হাজার ঘরবাড়ি। ভারী বর্ষণ ও তীব্র জোয়ারের পানিতে বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমি ও মাছের ঘের।

বুধবার সন্ধ্যার দিকে সুন্দরবন উপকূলে আঘাত হানে সুপার সাইক্লোন আম্পান । সারা রাত ধরে চলে এর আগ্রাসী তাণ্ডব। সুন্দরবন উপকূলের খুলনার কয়রা, দাকোপ, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, বাগেরহাটের মোংলা ও শরণখোলা উপজেলাসহ বিস্তীর্ণ জনপদ হয়ে গেছে ধ্বংসস্তুপ। খুলনা মহানগরীসহ এসব এলাকার বিদ্যুৎ হয়ে পড়েছে বিচ্ছিন্ন।

কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ও স্থানীয়রা জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাত ও জোয়ারের পানির তোড়ে সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ছোটো আংটিহারা বাকেরগাজীর বাড়ির পাশে শাকবাড়িয়া নদীর প্রায় ১২০ গজ বেড়িবাঁধ, আংটিহারা মজিদ গাজীর পাশে ৩০০ গজ বেড়িবাঁধ, জোড়সিং বাজারের পাশে ৫০০ গজ বেড়িবাঁধ, কপোতাক্ষ নদের চোরামোখা খেয়াঘাটের কাছে ৫০০ গজ বেড়িবাঁধসহ ১০টি জায়গার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে এবং মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের কয়রা নদীর পানি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধ উপচে লবণ পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে।

এছাড়া কয়রা উপজেলার প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল লবণ পানিতে প্লাবিত হয়েছে আম্পানের কারণে। বাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারের ছোটবড়ো ৫ হাজার মাছের ঘের ভেসে গেছে। প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তা বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ে কয়রা সদর ইউনিয়ন অফিসের টিন উড়ে গেছে। ডুবে গেছে উপজেলা পরিষদ।

খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, ঝড়ে কয়রা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া পাইকগাছা উপজেলার লতা, দেলুটি, লস্কর, গোড়ইখালী সোলাদানাসহ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি জায়গায় পাউবোর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা বাড়িঘর লবণ পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে অসংখ্য সাদা মাছ ও চিংড়ি ঘের। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে গাছপালা, কাঁচা, আধাপাকা ঘরবাড়ি, রাস্তা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিমুল কুমার সাহা বলেন, কয়রা উপজেলায় প্রায় ১৩-১৪টি জায়গায় পাউবো’র বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা চেষ্টা করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন