বৃহস্পতিবার ভোরে সুপার সাইক্লোন আম্পান অনেকটা দুর্বল হয়ে প্রবেশ করেছিল রাজশাহীতে। তারপর আম্পান আরও দুর্বল হয়ে যায়।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, রাত ২টা ৫৫ মিনিটে আম্পান প্রবেশ করে রাজশাহী অঞ্চলে। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার ছিল ওই সময়। মাত্র তিন মিনিট ছিল বাতাসের এই গতিবেগ। তারপর বাতাসের বেগ ধীরে ধীরে কমে আসে।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাজশাহীতে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয় আম্পানের প্রভাবে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৮১ মিলিমিটার।
অন্যদিকে রাজশাহী ছাড়াও নওগাঁ ও চাপাইনবাবগঞ্জে আমের ব্যাপক ক্ষতি করেছে আম্পান। বেশিরভাগ আম গাছ থেকে ঝরে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাণহানীর কোনো খবর এখনও শোনা যায়নি।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন জানান, ঝড় হিসেবেই রাজশাহী ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রবেশ করে আম্পান। আধা ঘণ্টার মতো ছিল এর স্থায়িত্ব। এর প্রভাবে রাজশাহী অঞ্চলে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়, তার সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতও হয়।
জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেছেন, আম্পানে রাজশাহীতে আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য নিশ্চিত করে ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ চলছে।
আনন্দবাজার/এস.কে