করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ‘প্লাজমা থেরাপি’ হয়ে উঠতে পারে যুগান্তকারী একটি পদ্ধতি। দেশে এই পদ্ধতি শুরু করে সাফল্যও এসেছে খুব দ্রুত। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয়া হয়নি ‘প্লাজমা থেরাপি’ কে।
করোনা চিকিৎসায় যখন শতভাগ কার্যকর ওষুধের দেখা মেলেনি বিশ্বের কোথাও, ঠিক তখনই কিছুটা হলেও আশার আলো দেখাচ্ছে এই প্লাজমা থেরাপি। বিশেষ করে মারাত্মক রোগীর ক্ষেত্রে মিলেছে বিস্ময়কর সাফল্য। সে পথে এখন হাঁটতে শুরু করেছে বাংলাদেশও।
ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে প্লাজমা সংগ্রহ শুরু করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি। চিকিৎসক, সাংবাদিক, সেনা সদস্যসহ বেশ কয়েকজন কোভিডজয়ী দান করেছেন প্লাজমা।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আনুষ্ঠানিক অনুমতি মিললেই প্লাজমা থেরাপি শুরু করবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ডিএমসি পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একে এম নাসির উদ্দিন বলেন, যারা রিসার্স করছে এবং যারা বিষয়টা হ্যান্ডেল করছে তারা যখন অ্যাডভান্সড করবে তখন সেটা অ্যাপ্রুভ করা হবে। এখনওতো আমরা শুরু করি নাই।
এদিকে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, স্কয়ার হাসপাতালে প্লাজমা থেরাপিতে মিলেছে সাফল্য। প্লাজমা দানকারী ডা. আমিন সেতু বলেন, প্লাজমা ডোনেট করাটা রক্তদান করার মতোই একটা প্রক্রিয়া। এতে কোনো সমস্যা হয় না। আমি যাকে ডোনেট করেছি তিনি ভালো আছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে চূড়ান্ত অনুমোদন মিলতে সময় লাগবে। তবে আগে চাইলে এটির ব্যবহার হতে পারে পরীক্ষামূলকভাবে।
আইইডিসিআর উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় এ বিষয় নিয়ে যারা কাজ করছেন তারা এ বিষয়ে একমত হতে পারেননি। তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখনি বিষয়টা বলতে পারছে না।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস