ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবারও বুক চিতিয়ে লড়বে সুন্দরবন

শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেই নয় প্রাকৃতিক দুর্যোগেও ত্রাতা হয়ে দেশকে রক্ষা করে সুন্দরবন। নানা সময়ে দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ কমিয়ে দুর্বল করে দেয়ায় সুন্দরবনের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। এবারও প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষেত্রে ত্রাতার ভূমিকাতেই রয়েছে সুন্দরবন।

গত নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করেছে সুন্দরবন। অত্যন্ত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া ‘আম্পান’ থেকে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষায় এবারও বুক পেতে দিচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট।

তবে ‘বুলবুলের’ তুলনায় ‘আম্পান’ অনেক বেশি ভয়াল রূপ নিয়েছে। বুলবুলের বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। ‘আম্পান’ এর এখনও পর্যন্ত বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ থেকে ২২০ কিলোমিটার। ফলে বুলবুলে সুন্দরবনের যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, এবার তারচেয়ে অনেক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া তুলনামূলকভাবে জানমাল, বাড়ি-ঘরের ক্ষতিও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

‘আম্পান’ এর বিষয়ে গত সোমবার (১৮ মে) আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেছেন, ‘আম্পান’ এর কেন্দ্র যদি সুন্দরবন হয়, তাহলে ওই স্পিডে (১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার) কম ক্ষতি হবে। কেন্দ্র যদি পটুয়াখালী (বা অন্য স্থলভাগ) হয়, তাহলে অনেক ক্ষতি হবে।

এদিকে আজ বুধবার (২০ মে) ভোর ৬টা পর্যন্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর বলেছে, ‘আম্পান’ উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ বিকেল অথবা সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের নিকট দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন