ঢাকা | বুধবার
৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হওয়া নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপ থেকে শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিয়েছে। প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে বর্তমানে ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অভিমুখে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ । এটি কোন কোন উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে তা জানা যায় নি এখনো। তবে আবহাওয়া অধিদফতর আশঙ্কা করছে এটি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে পারে। 

 দেশে করোনার এমন পরিস্থিতিতে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ আঘাত আনলে তা উপকূলবাসীর জন্য এটি হবে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। যেখানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার কথা বলা হচ্ছে সেখানে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিণিত হবে ভয়ঙ্কর।

আবহাওয়া অধিদফতরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান জানান, গভীর নিম্নচাপটি আজ রাতেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। গতির দিক বিবেচনা করে মনে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ অথবা বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে এটি। ঘূর্ণিঝড়টি যত এগিয়ে আসবে ততই গতি এবং ঘূর্ণন গতি দুইই বাড়তে থাকবে।

করোনার এই মহামারি সময় এই ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলবাসীর নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মহসিন জানান, ‘এখনও এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়নি। কিন্তু করোনার এই সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে তো গাদাগাদি করে না রাখার জন্য আশে-পাশের স্কুল-েকলেজের চাবি সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে যাতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে উপকূলবাসীকে আশ্রয় দেওয়া যায়

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে সাগর প্রবল উত্তাল থাকায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে । পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ এবং বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন