একদিকে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা, অপরদিকে ঈদ উপলক্ষে বিপণী-বিতানগুলোতে বেড়েই চলেছে জনগণের উপচে পড়া ভিড়। ব্যবসায়ী বা ক্রেতা কেউ মানছে না কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি।
ঠাকুরগাঁও শহরের চৌড়াস্তায় গেলে এমনই চিত্র চোখে পড়ে। মহামারি করোনা ভাইরাসের এমন দুর্যোগকালীন সময়ে সামাজিক দূরত্ব না মেনে গাদাগাদি করেই বেচাকেনা চলছে ঠাকুরগাঁওয়ের বিপণী-বিতানগুলোতে। দিনের পর দিন বিপণী-বিতানগুলোতে জনগণের উপচে পড়া ভিড় দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে সচেতন মহল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকছে শহরের এই বিপণী-বিতানগুলো। জেলা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকেই ঈদ মার্কেট করতে দলে দলে আসছেন ক্রেতারা। দোকনগুলোতে জীবানুনাশক স্প্রে করা হলেও নেই কোন সামাজিক দূরত্ব।
পূর্ব গোয়ালপাড়া এলাকার বাসিন্দা আল-আমিন মনোয়ার বলেন, কোন কাজ ছাড়া কেউ যেন বাসা থেকে না বের হয় সেটার জন্য সরকার বার বার বলছে। কিন্তু আজ চৌরাস্তার দিকে এসে বুঝা গেলো কি অবস্থা। মানুষ এভাবে স্বেচ্ছায় নিজের মৃত্যুকে ডেকে নিয়ে আসছে।
কাপড় বিক্রেতারা জানান, ঈদের কারণে ক্রেতার সংখ্যা একটু বেড়ে চলছে। দোকানের সামনে সার্কেল করে দেয়া হচ্ছে। যাতে করে দূরত্ব বজায় রাখার যায়। এছাড়াও দোকানগুলোতে জীবনুনাশক স্প্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ এখন এসব মানতে চাচ্ছে না।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, ইতোমধ্যে আমারা কয়েকটি দোকানে অভিযান করে দোকান বন্ধ করে দিয়েছি। এছাড়াও আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিনিয়ত বিপণী-বিতানগুলোতে মনিটরিং করে যাচ্ছে। আমরা চাই যাতে সকলেই সুস্থ থাকুক।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস/এম এম