ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনে উৎপাত বেড়েছে চোরা শিকারি চক্রের

করোনাভাইরাসের মহামারিতে প্রায় দুই মাস ধরে সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ আছে। এই পরিস্থিতিতে বনের ভেতর আরো চড়া হয়ে উঠেছে চোরা শিকারিরা। এতে ক্ষতির সম্মুখে পড়ছে হরিণসহ অনেক বন্যপ্রাণী। বন এলাকারবাসিদের অভিযোগ, করোনায় পর্যটক না থাকা কারণে বনরক্ষীরা নজরদারি কমিয়ে দিয়েছে। আর এতেই উৎপাত বেড়েছে চোরা শিকারিদের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,  দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর গত ১৯ মার্চ থেকে সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ করে বন বিভাগ। ওই বিধিনিষেধের পরই বনরক্ষীরা দায়িত্ব পালনে কিছুটা অবহেলা করছিলেন। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে চোরা শিকারিরা হরিণ শিকারে। এরা হরিণ শিকার করে মাংস বিক্রি করছে। নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অর্ধশত হরিণ শিকারের ঘটনা ঘটেছে।

এই ব্যাপারে সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. ফরিদুল ইসলাম জানান, করোনায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর থেকেই একটি অসাধু চক্র সুন্দরবনে হরিণ শিকারে মেতে উঠেছে। ইতোমধ্যেই হরিণ শিকারের ঘটনা ঘটেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আমাদের আবেদন এই চোরা শিকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ এখনই না নেওয়া হলে সুন্দরবনের ভারাসাম্য নষ্ট হবে।

বন কর্মকর্তারা বলেন,  হরিণ শিকারের অপরাধে ছয়জন চোরা শিকারিকে  এখন পর্যন্ত আটক করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ৫ মে ৩০ কেজি হরিণের মাংস, ৭০০ ফুট ফাঁদসহ তিনজনকে আটক করে বন বিভাগ।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন