ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খোলা থাকলেও ক্রেতাশূন্য রাজধানীর শপিং সেন্টারগুলো

করোনা প্রতিরোধে সরকার আবারও ৩০মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে ছুটির মেয়াদ। কিন্তু আসন্ন রোজার ঈদ উপলক্ষে শর্ত অনুসারে বিধিনিষেধ কিছুটা সহজ করে শপিং মল, দোকানপাট, মার্কেট খোলার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় সারা দেশসহ রাজধানীতেও  বেশ কিছু মার্কেট খুলেছে।

কিন্তু মার্কেট খুললেও নেই ক্রেতার সমাগম। রাজধানীর শপিং মলগুলোতেও একই অবস্থা। ২১ রমজান শেষ হলেও করোনার জন্য কেনাকাটায় তেমন আগ্রহ নেই ক্রেতাদের। প্রায় জনশূন্য মার্কেটগুলো। দু’একজন মার্কেটে গেলেও সেভাবে করছেন না তেমন কোন কেনাকাটা ।

এই ব্যাপারে এলিফ্যান্ট রোডের জেন্টল পার্ক শো-রুমের কর্মচারী মেহেদী হাসান জানান, আগে যে ক্রেতা্রা একসাথে অনেক পোশাক কিনতেন, এখন তারা কিনছেন একটি পোশাক। গেল ঈদেও ২১ রোজার সময় জামাকাপড় বিক্রি করে কুলাতে পারেনি, এবার ক্রেতা আএকেবারে নেই বললেই চলে।

ঈদ উপলক্ষে গোপীবাগ থেকে এলিফ্যান্ট রোডে শপিং করতে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র রায়হান রহমান জানান, এখনও তেমন কিছু পছন্দ হয় নাই । যদি কিছু পছন্দ হয় তাহলে কিনবো। করোনার সংক্রমনের ভয়ে এবারে সবার ঈদ মাটি হয়ে যাবে।

বিক্রি প্রসঙ্গে নূর ম্যানশন (গাউছিয়া) মার্কেটের অপর্ণা কসমেটিকসের কর্মচারী মো. মিঠু জানান, দোকান খোলার থেকে না খোলাই অনেক ভালো ছিল। শুধুমাত্র দোকানের খরচ এবং কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার জন্যই ঈদের আগে দোকান খুলেছেন মালিকরা। আমরা যারা কর্মচারী আছি, আমাদের প্রায় দুই থেকে তিন মাসের বেতন এখনও বকেয়া আছে। আমরা কারো কাছ থেকে তেমন কোনো সাহায্যও পাচ্ছি না।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন