ঢাকা | রবিবার
১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোরবানির আগে পশু লালনপালন ও পরিচর্যায় ব্যস্ত ঢাকার খামারিরা

কোরবানির আগে শেষ মুহূর্তে পশু লালনপালন ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকা ও এর আশপাশের খামারিরা। শেষ সময়ে বিদেশ থেকে গরু না এলে প্রত্যাশিত দাম পাওয়ার আশা খামারিদের। প্রাণি সম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, এবারের কোরবানিতে দেশিয় খামার থেকেই চাহিদার শতভাগ পূরণ করা সম্ভব। তাই কোরবানির আগে বাইরে থেকে কোনো ভাবে গরু আসতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রাণি সম্পদ অধিদফতর এর মহাপরিচালক।

সারা বছর খামারে লালন পালন শেষে এখন অপেক্ষা বিক্রির। কোরবানি সামনে রেখে গরুর ভালো দাম পেতে শেষ মুহূর্তে পরিচর্যায় ব্যস্ত খামারিরা। রাজধানী ঢাকাসহ আশেপাশে এরকম কয়েক হাজার খামারে প্রস্তুত রয়েছে কয়েক লাখ কোরবানির পশু। সব মিলিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজস্ব খামারে মজুদ পশুর সংখ্যা কোটি ছাড়িয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মতে গত বছর কোরবানিতে সারাদেশে পশু জবাই হয়েছে ১ কোটি ৫ লাখ। এবারে কোরবানির জন্যে পশু মজুদ রয়েছে ১ কোটি ১৭ লাখ। অর্থাৎ দেশীয় উৎস থেকেই কোরবানির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। খামারিরা বললেন কোরবানির কারণে বিদেশ থেকে যদি পশু আমদানি না হয় তাহলে তাদের এতদিনের কষ্ট লাঘব হবে।

খামারিরা বলেন, ‘গরুগুলোকে আমরা অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে লালন পালন করছি। ঈদের চার থেকে দুই মাস আগে অনেকেই কেনে। আমরা তাদের বাসায় যেয়ে সার্ভিস দিয়ে আসি।’

আরেক খামারি বলেন, ‘আমাদের যা কালেকশন আছে তার অর্ধেক বিক্রি হয়ে গেছে। ক্রেতাদের চাহিদার ওপর নির্ভর করে আমাদের গরু রাখা আছে।’

হাট থেকে পশু কেনার ঝামেলা এড়াতে অনেকেই তাই খামার থেকে কিনে নিচ্ছেন কোরবানির গরু। কোরবানির আগের দিন পর্যন্ত খামারেই লালন পালন আর ক্রেতার বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার নিশ্চয়তা থাকায় ক্রেতাদেরও রয়েছে বিশেষ আগ্রহ। ক্রেতারা বলেন, ‘প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে মোটাতাজা করণ করা হয় বলেই আমরা এভাবে গরু কিনে থাকি।’

চাহিদার শতভাগই দেশিয় উৎসে মজুদ থাকায় দেশের বাইরে থেকে কোরবানির এই সময়ে কোন পশু আসতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রাণী সম্পদ অধিদফতর এর মহাপরিচালক। ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক বলেন, ‘দেশীয় অনেক খামার গড়ে উঠেছে। আমরা সরকারি ভাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি। কোরবানি পর্যন্ত গরু আমদানি বন্ধ থাকবে বলে বিজিবিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির তথ্য মতে ২০১২-১৩ অর্থবছরে দেশের বাইরে থেকে বৈধ পথেই ২৬ লাখ গরু এলেও গেল অর্থবছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৯২ হাজারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন