প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প খুলনা-মোংলা রেললাইন এবং খানজাহান আলী বিমান বন্দরের জমি অধিগ্রহনের টাকার দালালদের দৌরাত্ম নিরসনে এবং জনভোগান্তি লাঘবার্থে জমির অধিগ্রহনকৃত ভুমির মালিকদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হস্তান্তর করা হচ্ছে ক্ষতিপূরনের চেক।
বুধবার (১৩ মে) সকালে জেলার রামপাল উপজেলার বড় নওয়াবপুর ও ধলদা গ্রামের ২১ জন ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিককে এ চেক হস্তান্তর করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক কামরুল ইসলাম, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনসহ জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে কোনো ধরণের বিড়ম্বনা ছাড়াই বাড়ি বসে ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়ে খুশিতে আত্মহারা ওই গ্রামের নারী-পুরুষ। তারা জানান,“আগে বাধ্য হয়ে দালালদের শরণাপন্ন হতে হত। ফলে পাওনা টাকার একটি বড় অংশ দালাল ও ঘুষ দিতে চলে যেত। আমরা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরকারি বাড়িতে এসে এভাবে ক্ষতিপূরণের চেক আমাদের হাতে তুলে দেবেন। জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই”।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, “জেলা প্রশাসনে সচ্চতা ও জবাবদিহিতার লক্ষ্যে ঘরে ঘরে সেবা পৌঁছে দিতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগে আমরা কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প খুলনা ও মোংলা রেললাইন এবং খানজাহান আলী বিমান বন্দরের জমি অধিগ্রহনের টাকার চেক জমির মালিকদের খুজে বের করে যেখানে পাবো সেখানেই তাদের প্রাপ্য আমরা দিতে বদ্ধ পরিকর। দালাল ও দূনীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলার লক্ষে কাজ করছে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন”।
‘করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছি। ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের সময় ও অর্থ বাঁচাতে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান করছি বলে জানান, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। এখন থেকে উন্নয়ন প্রকল্পে অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের বাড়ি বাড়িতে গিয়েই ক্ষতিপূরণের চেক দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আনন্দবাজার/শাহী